সোমবার, রাত তখন সাড়ে ১২টা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল একটি বেসরকারী টেলিভিশন টকশোতে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় অভিনন্দন জানান চিটাগং কিংসকে। বরিশাল বার্নার্সকে পরের বছরের জন্য শুভ কামনা জানান।
বিসিবি সভাপতি মধ্যরাত পর্যন্ত জানতেন না চিটাগং নয় বরিশালকে সেমিফাইনালে উন্নীত করার সব নীলনকশা তৈরি করছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এবং টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা। বিসিবি সভাপতির ওই ব্যক্তব্য সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীরকে প্রশ্ন করা হলে অদ্ভুত উত্তর দিলেন, ‘তিনি যদি বিপিএলে কোন দলকে সমর্থন করে বলে থাকেন যে, এই দল সেমিফাইনাল খেলবেÑ সেটি তাঁর ব্যক্তিগত মত।’
শুধু বিসিবি সভাপতি নয় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর বক্তব্যকে ব্যক্তিগত মত বলে চালিয়ে দিচ্ছেন, ‘আমরাও স্বীকার করি, আমাদের ভুল ছিলো। লিপু ভাই ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। এটি বিপিএল গর্ভনিং কাউন্সিলের মত না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটি ভুল হয়েছে। আমরা ভুল স্বীকার করে নেব। উনি কারো সঙ্গে আলোচনা না করে প্রেসবক্সে গিয়েছেন। হয়তো আপনাদের মতামত নেবার জন্য।’
বাইলজের ২১.৮.২ ধারা থেকে লিপু সেমিফাইনালের সমীকরণ তুলে ধরেছিলেন সাংবাদিকদের কাছে। গভীর রাতে সেই আইনের অন্য ব্যাখ্যা দিয়ে সেমিফাইনালে তুলে দেওয়া হয় বরিশালকে।
লিপু একা নন বিপিএলের খেলা সম্প্রচারের দায়িত্বে থাকা টেলিভিশন চ্যানেলও সোমবার দিনের দ্বিতীয় এবং শেষ খেলা শেষে সেমিফাইনালে রাজশাহীর প্রতিপক্ষ হিসেবে চিটাগংকে দেখানো হয়। বিপিএলের যে অফিসিয়াল ওয়েব সাইট আছে সেখানেও সেমিফাইনালের চতুর্থ দল দেখানো হয় চিটাগংকে।
এখানেই শেষ নয় টিকিটের গায়েও লেখা নেই সেমিফাইনালে কে কোন দলের সঙ্গে খেলবে। দর্শকদের ভুল তথ্য দিয়ে বঞ্চিত করাকে প্রতারণা করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, ‘আমি তা মনে করি না। ভুল কখনো প্রতারণা হতে পারে না।’
বাইলজের ধারা মানা হলে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠকের হেতু সম্পর্কে যতার্থ ব্যাখ্যা দিতে পারেননি আলমগীর, ‘এই সিদ্ধান্তটি টেকনিক্যাল কমিটিকে জিজ্ঞেস করুন। আপনাদের সব প্রশ্নের জবাব তো আমি দিতে পারব না। সময়টা নিয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি। হ্যাঁ, আমি একজন মেম্বার। কিন্তু এর জবাব দিতে পারবো না।’