জাতীয় প্রেস ক্লাবের নতুন সদস্য তালিকা প্রত্যাখ্যান

জাতীয় প্রেস ক্লাবের নতুন সদস্য তালিকা প্রত্যাখ্যান

press clubজাতীয়  প্রেস ক্লাবের  ঘোষিত নতুন সদস্য তালিকা প্রত্যাখ্যান করেছে প্রেস ক্লাব সদস্য পদবঞ্চিত সাংবাদিক ফোরাম। তারা এই তালিকা বাদ দিয়ে নতুন করে তালিকা করার দাবি জানিয়েছে।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মূল ফটকে প্রেস ক্লাব সদস্য পদবঞ্চিত সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত  এক  বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান।

ঢাকা সাব-এডিটর কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান মিঞার সঞ্চালনায় সমাবেশে  বক্তব্য দেন  প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাশংশের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজের সাবেক প্রচার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, মানবকণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য রফিক আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য অমিয় ঘটক পুলক, চ্যালেন আইয়ের সহকারী বার্তা সম্পাদক কল্যাণ সাহা, দৈনিক জনতার সিনিয়র রিপোর্টার জাহাঙ্গীর খান বাবু, ডিইউজের সাবেক সহসভাপতি তরুণ তপন চক্রবর্তী, প্রচার সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক জয়ন্ত আর্চার, সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, শারমিল রহমান রমা প্রমুখ।

শফিকুর রহমান বলেন, সদ্যপ্রকাশিত সদস্য তালিকা বাতিল করে  প্রেস ক্লাবের নির্বাচনের শিডিউল প্রত্যাহার এবং ক্লাবের অপেশাদার সাংবাদিকদের সদস্য বাতিল করতে হবে। নতুন করে সদস্য তালিকা করার দাবি জানান তিনি।

শফিকুর রহমান  বলেন, “যে ১৭১ জনকে সদস্যপদ দেয়া হয়েছে, সেখানে আমাদের নেতারা ব্ল্যাক বল দিয়েছেন। কিন্তু ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট এই ব্ল্যাক বল লিপিবদ্ধ করেনি। গঠনতন্ত্র মেনে সদস্যপদ দেয়া না হলে প্রেস ক্লাবের নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেন তিনি।

শফিকুর রহমান হুঁশিয়ার করে দেন, “পেশাদার সাংবাদিকদের যদি সদস্যপদ না দেওয়া হয়, ক্লাব ভাঙবেই ভাঙবে। যেমন ডিআরইউ, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হলেও আমরা তা ঠেকাতে পারিনি।”

কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, “সদস্য হওয়ার জন্য আমরা ১৪৮ জনের নাম দিয়েছিলাম। তারা সবাই ২০ থেকে ৪০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাংবাদিক। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্য না করে অপেশাদারদের সদস্য করেছে।” প্রেস ক্লাবকে অসাংবাদিকমুক্ত করতে সব সাংবাদিক নেতাকে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান তিনি।

ওমর ফারুক অভিযোগ করেন, ১৭১ জনের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে কিছু পেশাদার সাংবাদিক থাকলেও বেশির ভাগ অপেশাদার সাংবাদিক। এ তালিকা গঠনতন্ত্র মেনে দেয়া হয়নি। ঘোষিত তালিকা বাতিল করে পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্য করার আহ্বান জানান তিনি।

অন্য বক্তারা প্রেস ক্লাবে প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ার করে দেন, অন্যথায় তারা  প্রেস ক্লাবের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে  রোববার বেলা ১১টায় প্রেস ক্লাবে ফের সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর