কন্ঠশিল্পী নচিকেতা দেখে গেলেন পৈত্রিক ভিটা

কন্ঠশিল্পী নচিকেতা দেখে গেলেন পৈত্রিক ভিটা

nochiketaভারতের স্বনামধন্য কন্ঠশিল্পী নচিকেতা তার পৈত্রিক ভিটা ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়া উপজেলার চেচরীরামপুর ইউনিয়নের উত্তর চেচরী গ্রামে এসে ঘুরে গেলেন।

সোমবার দুপুরে প্রথমে তিনি হেলিকপ্টারে করে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্টেডিয়াম মাঠে এসে নামেন। এরপর তিনি ভান্ডারিয়া বিহারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে বসেন। যেখানে ১৯৫৮ সালে তার ঠাকুর দাদা বাবু ললিত কুমার গাংগুলি প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এরপর গাড়ি যোগে যান তার পৈত্রিক ভিটা কাঠালিয়া উপজেলার উত্তর চেচরী গ্রামে। কণ্ঠশিল্পীর পিছু নেন পিরোজপুর ও ভান্ডারিয়ার সংবাদকর্মীসহ সংগীত প্রেমীরা। সাথে যান ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়াম্যান আতিকুল উজ্জল তালুকদার ও ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সংগীত শিল্পী মো. মতিউর রহমান।

পৈত্রিক ভিটেমাটির চিহ্ন না থাকায় নচিকেতা গিয়ে বসেন তাদের আশ্রমের পাশের দিঘীর ধারে। সেখানে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। গায়ের ছেলে গায়ে এসেছে এ খবরে ছুটে আসেন জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় লোকজন।

নচিকেতা বলেন, ১৯৪৫ সালে আমার বাবার নাম স্বর্গীয় সভা রঞ্জন চক্রবর্তী সপরিবারে ভারতে চলে যান। গুরুজনদের কাছে শুনেছি কলকাতা মেডিকেলে আমার জন্ম হয়েছে।

কথা বলতে বলতে নচিকেতা উঠে দাঁড়ান এবং হাঁটতে হাঁটতে যান একটি কুড়ে ঘরের কাছে। স্থানীয়দের কাছে শুনতে পান এ কুড়ে ঘরটি যেখানে সে জায়গাতেই তাদের (নচিকেতাদের) বাড়িঘর ছিল। এ ঘরেরই তার বাবার জন্ম হয়েছে। কুড়ে ঘরের পিড়ায় বসেন।

এর আগে নচিকেতা তার গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কাটাখালী নদীতে নেমে পানি স্পর্শ করেন এবং একটি বোতলে ভরে পানি নিয়ে যান।

বিনোদন