ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই অংশের নির্বাচনের সময় এবং প্রশাসকের দায়িত্বকাল দ্বিগুণ করার প্রস্তাব সংবলিত সংশোধনী বিল সংসদে পাস হয়েছে।
‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) বিল-২০১২’ বিলটি পাসের ফলে নির্বাচনের সময়সীমা ৯০ দিনের বদলে ১৮০ দিন হবে। সিটি কর্পোরেশনের দুই অংশের প্রশাসকও একই সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
সংসদে মঙ্গলবারের অধিবেশনে বিলটি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে উত্থাপন করেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। এই বিল পাসের তিন মাসের মধ্যে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে (ডিসিসি) নির্বাচন করতে হবে।
ডিসিসি দুই ভাগ করে প্রশাসক নিয়োগ এবং ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বিধান করে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) বিল-২০১১’ গত বছরের ২৯ নভেম্বর সংসদে পাস হয়। গত ১ ডিসেম্বর বিলটি গ্রেজেট প্রকাশের মধ্য দিয়ে কার্যকর হয়।
সে হিসেবে ২৮ ফেব্র“য়ারির মধ্যে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই সঙ্গে প্রশাসকের মেয়াদও শেষ হচ্ছে।
বিলের বিধান অনুযায়ী ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ‘উত্তর ও দক্ষিণ’ দুই ভাগে বিভক্ত হয় এবং সরকার দুইজন সরকারি কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানানো হলে এ সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অপরাগতা প্রকাশ করে এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন সাবেক নির্বাচন কমিশন।
নভেম্বরে বিল পাসের ফলে ঢাকার ওয়ার্ডগুলো দুটি সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১ থেকে ২৩, ৩৭ থেকে ৪৭ এবং ৫৪ ও ৫৫ ওয়ার্ড (মোট ৩৬টি) নিয়ে গঠিত হয় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ২৪ থেকে ৩৬, ৪৮ থেকে ৫৩, ৫৬ থেকে ৯২ পর্যন্ত মোট ৫৬টি ওয়ার্ড নিয়ে হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
গত ৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানিয়ে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়।
নিজেদের মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ না থাকায় ওই কমিশন ডিসিসিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে অসম্মতি জানায়।