পাট ও পাটজাত পণ্যের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিজনেস ফ্যাসিলিটেশন ইউনিটের (বিএফইউ) উদ্যোগে ঢাকার আইডিবি ভবনে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তারা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন এবং টেকসই বিপণন ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, “পাট: ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প” শিরোনামে বিজনেস ফ্যাসিলিটেশন ইউনিট যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ট্রেডক্রাফট এক্সচেঞ্জের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি চালু করছে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য পাট উৎপাদন, পাটজাত পণ্যের বিপণন, প্রসার এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া, যাদের হাত ধরে পাট শিল্প তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
২০১০ সালের মার্চ মাসে চালু হওয়া চার বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের লক্ষ্য মানুষকে সচেতন করার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা “তরঙ্গ”।
মাইডাস এর অধীনে বিএফইউ পরিচালিত হচ্ছে এবং এর কিছু অংশের অর্থায়ন করছে ক্যাটালিস্ট।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউরোপিয়ান কমিশনের অ্যাম্বাসেডর ও হেড অব ডেলিগেশন উইলিয়াম হানা।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বোস।
উইলিয়াম হানা বাংলাদেশের পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ট্রেডক্রাফট এক্সচেঞ্জের এ পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকে পাটজাত পণ্য উৎপাদনে বিএফইউ সহায়তা প্রদান করবে।
বিএফইউ এর কার্যক্রম এবং অন্যান্য বিষয় জানার সুবিধার্থে কর্মশালায় বিএফইউ’র একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হয় www.jdpbfu.bd.com.
কর্মশালায় পাটজাত পণ্য উৎপাদন বিপণনসহ এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ছিলেন, পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, মিল মালিক, বিক্রেতা, বিজেএমইএ, জেডিপিসি, বিজেআরআই, বিএডিসি প্রতিধিনিবৃন্দ, এনজিও, ইউএনডিপি এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকে পাটজাত পণ্য উৎপাদনে বিএফইউ তথ্য ও সেবা দিয়ে সহায়তা প্রদান করে থাকে। বিএফইউ স্বল্প ব্যয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলোকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।