বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব বিপণন সম্মেলন (ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট) ঘিরে এ দেশের ব্যবসায়ী এবং বিপণন কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলন থেকে তাঁদের প্রত্যাশাও অনেক বাড়ছে।
১ মার্চ শুরু হওয়া তিন দিনের এই আন্তর্জাতিক আয়োজন চলবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে।
ফিলিপ কটলারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল ওয়ার্ল্ড সামিট লিমিটেডের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই বিপণন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সম্মেলনে প্লিনারি অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন এ দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কিউবির বিপণন বিভাগের প্রধান নেহাল আহমেদ। তিনি গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই সম্মেলন থেকে আমাদের কোনো ব্যবসায়িক প্রত্যাশা নেই। প্রত্যাশা হচ্ছে জ্ঞান ও তথ্য আদান-প্রদানের, যেটা অনেক দিন কাজে লাগানো যাবে।’
নেহাল আহমেদ বলেন, সম্মেলনে মূলত বিভিন্ন দেশের বিপণন বিশেষজ্ঞ এবং করপোরেট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে জ্ঞান ও তথ্যের আদান-প্রদান হবে। এটা একটা বড় পাওয়া। এই নেটওয়ার্কিংই আসলে বিপণনের মাধ্যমে উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
নেহাল আহমেদ বলেন, ‘তিন দিনের এই সম্মেলন যেন তিন দিন পরই শেষ হয়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবার লক্ষ্য থাকতে হবে যেন এই নেটওয়ার্কিংটা চলমান থাকে। তাহলেই সম্মেলনের উদ্দেশ্য পূরণ হবে।’
কিউবির এই বিপণনপ্রধান বলেন, সম্মেলনে কিউবির কোনো বিক্রয় বুথ দেখা যাবে না। কোনো মডেমও বিক্রি হবে না। সামাজিক উন্নয়নের বিষয়টি মাথায় রেখেই কিউবি এতে অংশ নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিপণন কীভাবে সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়টি জানার চেষ্টা করা হবে।
এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডের ব্যবসা পরিচালক (বিজনেস ডিরেক্টর) আশরাফ বিন তাজও সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এই সম্মেলনকে তিনি দুটি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছেন। প্রথমত, নেটওয়ার্কিং এবং দ্বিতীয়ত, শেখার জায়গা।
আশরাফ বিন তাজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা বিশ্ব থেকে ৬০ জনের বেশি বিপণন বিশেষজ্ঞ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। বিপণন কীভাবে উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলতে পারে সে বিষয়টি তাঁদের কাছ থেকে শুনব। পরবর্তী সময়ে সেভাবেই আমাদের বিপণনকেও ঢেলে সাজাব।’ তাঁর মতে, বাংলাদেশে এখনো বিপণন হচ্ছে কেবল পণ্যের বেচাকেনা।
আশরাফ বলেন, এই সম্মেলনে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিশ্বের করপোরেট-জগতের খ্যাতনামা ব্যক্তিদের যে নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে, সেটা এ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভালো প্রভাব ফেলবে। সেটা কাজে লাগিয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যবসাকে এগিয়ে নেওয়া যাবে।