স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশের আগেই আমরা ইবোলা রোগ প্রতিরোধে কমিটি গঠন কার্যক্রম শুরু করেছি। ইবোলা আক্রান্ত কেউ যাতে দেশে আসতে না পারে, সেজন্য বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরে স্ক্যান করা হচ্ছে যাত্রীদের। ইবোলা সংক্রান্ত রোগী সনাক্তের জন্য কিছুদিনের মধ্যে থার্মোস্ক্যানার আনা হবে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কমিউনিটি ক্লিনিকে ব্যবহারের জন্য ওমরন হেলথ কেয়ারের দানকৃত মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ইতিহাসে শুধু নয়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে বিনা মূল্যে তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে। বিনা পয়সায় ৩০ রকমের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সম্প্রতি ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা গ্রামের মানুষের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত সরকার রাজনৈতিক কারণে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। এটা না করলে কমিউনিটি ক্লিনিক আরো অগ্রসর হতো।
দেশের সম্পদশালী মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্য সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক সংশ্লিষ্টদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসচিব এম এন নিয়াজউদ্দিন, কমিউনিটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মাখদুমা নার্গিস প্রমুখ।
জাপানি প্রতিষ্ঠান ওমরন হেলথ কেয়ার দানকৃত মেডিক্যাল সরঞ্জামাদির মধ্যে রয়েছে ২০০০ ব্লাড প্রেসার মাপার মেশিন, ১০০০ পিচ ব্লাড সুগার মাপার যন্ত্র এবং ২০০০ বক্স বিজিএম স্ট্রিপ। এসব যন্ত্র দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকে ব্যবহৃত হবে।