এবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছে চারটি সংগঠন।
আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম ও বাংলাদেশ কৃষক পার্টির মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল ‘নব্য রাজাকার, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিকারী পিয়াস করিমের পক্ষ অবলম্বন করার প্রতিবাদে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কুশপুত্তলিকা দাহ’। মানববন্ধনে বক্তৃতা শেষে আইনমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা।
সাম্প্রতিক নানা মন্তব্যের জন্য পিয়াস করিমকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের ‘পক্ষের লোক’ হিসেবে তার মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নেয় বিভিন্ন ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তার লাশ শহীদ মিনারে রাখার অনুমতি দেয়নি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া প্রতিরোধে মাঠে নেমেছিল ছাত্রলীগও।
এর মধ্যেই এই প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া আনিসুল হক রোববার বলেন, পিয়াস করিম একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন। আর তাকে ছাড়াতেই কুমিল্লায় শান্তি কমিটিতে যোগ দিতে ‘বাধ্য’ হন তার বাবা এম এ করিম।
মানববন্ধনে অনলাইন এক্টিভিস্ট ফোরামের নেতারা আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনমন্ত্রীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং মন্ত্রিসভা থেকে তাকে বাদ দিতে হবে।’
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবির চৌধুরী আইনমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানান।
কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ বলেন, ‘আইনমন্ত্রী যেভাবে কথা বলেছেন, তাতে মনে হয় পিয়াস বড় মুক্তিযোদ্ধা। তার বক্তব্য শুধু প্রত্যাহার করলেই চলবে না, আজ রাতের মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী যদি জাতির কাছে ক্ষমা না চান, তাহলে আমরা আরও কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে হজ নিয়ে করা এক মন্তব্যের জন্য মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। তার আগে শেখ হাসিনার গত সরকারের মন্ত্রী এ কে খন্দকার এক বইয়ে বিতর্কিত কিছু তথ্য দেন, যার সমালোচনায় মুখর আওয়ামী লীগ নেতারা।