প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা ও ধীরগতি দূর করতে আলাদা শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার সকালে সচিবালয়ে প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার মান বাড়াতে প্রযুক্তির ব্যবহার ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে বলেন, বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত দরকার। আর এখন প্রযুক্তির ব্যবহার, শিক্ষার মান, শিক্ষার ব্যবস্থা সবকিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেতে গেলে প্রশিক্ষণ হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝরেপড়া রোধে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। মোবাইলে সারচার্জের টাকা স্বাস্থ্যখাতের পাশাপাশি শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী স্কুলগুলোতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচল নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মনোযোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএসসি করে আসতে আসতে একটু সময় লাগে। আমি মনে করি শিক্ষক নিয়োগের জন্য আলাদা একটি কমিশন হওয়া উচিত। ওই কমিশনের ভেতরেই আরেকটা আলাদা উইং থাকবে অথবা আলাদা কমিশন থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশাল বিল্ডিং করে দিয়েছি, জায়গারও অভাব নেই। সেখানে আলাদাভাবে একটা ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে যাদের কাজই হবে শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগের কাজটা করবে। একটা মূল কমিশন থাকতে পারে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি কমিশন ওই একই জায়গায় একই সঙ্গে কাজ করবে যারা শিক্ষক নিয়োগ দেবে। এটা ছাড়া কিন্তু এই সমস্যাটার সমাধান করা সম্ভব নয়।
তিনি শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়াতে আলাদা পে-কমিশন গঠন করা হবে বলেও জানান।