জাতীয় অধ্যাপক সালাহউদ্দীন আহমদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। রবিবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
অধ্যাপক সালাহউদ্দীন আহমদ ইতিহাস চর্চায় বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
ড. সালাহউদ্দীন আহমদ ১৯২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম আবুল ফয়েজ সালাহউদ্দীন আহমেদ। ফরিদপুরে পূর্ব পুরুষদের বাড়ি এবং সেখানে জন্ম হলেও পিতার চাকরির কারণে খুব বেশি সময় সেখানে কাটেনি তার। ছেলেবেলা ও শিক্ষাজীবনের অধিকাংশ সময়টাই কেটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ অনার্স এবং এমএ করেছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসেলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
শিক্ষক হিসেবে ১৯৪৮ নালে তার কর্মজীবন শুরু হয় জগন্নাথ কলেজে। ১৯৫৬ সালে তিনি জাপান বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক জাপানের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে পড়াশুনা ও গবেষণা করেন।
দীর্ঘদিন তিনি রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে এই ইতিহাসবিদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবাণীতে তিনি বলেন, প্রফেসর সালাহউদ্দীন আহমদের মৃত্যুতে বাংলাদেশে ইতিহাস চর্চায় যে শূন্যতার সৃষ্টি হল তা পূরণ হওয়ার নয়।