বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পদে ইউনূসকে নিয়োগের ব্যাপারে শেখ হাসিনার সুপারিশের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা বিষয়টির ব্যাপারে বল ইউনূসের কোর্টেই ঠেলে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর রাজশাহী সফরে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মজিনা বলেছেন, ‘ইউনূস যদি এ প্রস্তাবে রাজি থাকেন তবে আমাদের সরকার বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।’
মজিনা এদিন রাজশাহীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ মিলনায়তনে ‘ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ’র রাজশাহী জেলা কমিটির উদ্বোধন ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মজিনা বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের একটি খুবই ভালো প্রতিষ্ঠান। নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রয়াসের আমি প্রশংসা করি।’
বিশ্বব্যাংকে শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত পদ প্রাপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে – এমন প্রশ্নের জবাবে মজিনা বলেন, ‘আমি নিশ্চিত এ পদে যেতে তিনি রাজি হলে বিষয়টি আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখবো।’
অনুষ্ঠানে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই জাতির রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষৎ। এক বা দুই দশকের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশ, এই নতুন বাংলাদেশ, এই সোনার বাংলাদেশ এর সকল নাগরিকের জন্য বয়ে আনবে সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও আশা।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই সোনার বাংলাদেশ এমনি এমনি হবে না, এদেশের জনগণ এটি গড়বে। আপনাদের মত মানুষ যারা নিজেদের দেশের ব্যাপারে যত্নশীল তারাই এটিকে বাস্তবে রূপ দেবেন।’
আমেরিকায় স্বেচ্ছাসেবীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবীরা আমাদের জাতীয় উন্নয়নে, জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শুধু গত বছরে ছয় কোটি আমেরিকান নিজেদের লোকালয়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবার মনোভাব, জাতিকে কিছু দেয়ার বাসনা আপনাদের সাহায্য করবে। যেহেতু আপনারা, আজকের তরুণরা আগামী দিনের ব্যবসায়ী, শিক্ষক, কৃষক, দোকানের মালিক, মৎস্যজীবী, সাংবাদিক, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংকার, এবং আইনজীবী।’
মজিনা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবী, প্রকৃতপক্ষে সোনার বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করছেন। যা হচ্ছে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে, ইটের পর ইট বিছিয়ে।’