চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করতে বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করতে বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

leader kবাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সাথে সঙ্গতি রেখে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করে চামড়ার উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করা হবে। আগামী ০৩ অক্টোবরের মধ্যে চামড়া ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে চামড়ার সর্বনি¤œ মূল্য নির্ধারণ করে  সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তা ঘোষনা করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

যা প্রচার মাধ্যম ও এসএমএস-এর মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানো হবে। মন্ত্রী বলেন, পাচার রোধে ঈদ উল আযহার পর অন্ততঃ ৩০ দিন বর্ডার এলাকা দিয়ে চামড়া পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে। এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 
মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোরবানীর পশুর কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ, কাঁচা চামড়া সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাত করণ, মিডিয়ায় প্রচার এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে  চামড়া ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক সভায় সভাপতিত্ব করে একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সারা বছর গবাদি পশু জবাই থেকে  চামড়া আসে প্রায় ৭০ লাখ টি, আর শুধু কোরবানী থেকে আসে প্রায় ৭০ লাখ টি। অর্থাৎ  কোরবানীর ঈদেই চামড়ার মোট উৎপাদনের অর্ধেক আসে। এ বিপুল পরিমান চামড়া যাতে যথাযথ ভাবে সঠিক প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ ও সংরক্ষণ হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের চামড়ার মান খুবই উন্নত। বিদেশে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রতি বছর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে বিপুল পরিমান বৈদেশীক মূদ্রা অর্জন করা হয়।

গত ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে চামড়া রপ্তানি করে ৫০৫.৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ২৪০.০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং শুধু স্যু রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৫৫০.১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। চামড়া থেকে বাংলাদেশ আয় করেছে ১২৯৫.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে অন্যতম রপ্তানি পণ্য হিসেবে চিহ্যিত করা হয়েছে। জাপান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ অনেক দেশে চামড়ার চাহিদা বেড়েই চলছে। এর পাশাপাশি আলু, ফার্নিচারেরমত অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ও সরকারের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব(আমদানি) ড. মো. রুহুল আমীন সরকার, অতিরিক্ত সচিব(মহাপরিচালক, ডব্লিউটিও) অমিতাভ চক্রবর্তী, অতিরিক্ত সচিব(এফটিএ) মনোজ কুমার রায়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবুল হোসেন মিয়া, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ বাণিজ্য