নিজ দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ আর কড়া সমালোচনা করে একহাত নিলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
হাছান মাহমদুকে উদ্দেশ্য করে সাজেদা বলেছেন, ওর মতো বেয়াদব আমি আর দেখি নাই। এটা স্মরণকালের বৃহত্তম বেয়াদবি।
রবিবার ধানমন্ডির ৩২ নাম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে পাশাপাশি দুটি সমাবেশ হচ্ছিল। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পশ্চিম দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। অপরদিকে পূর্বপাশে মোটরচালক লীগের সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন ড. হাছান মাহমুদ।আজকের দিনে যখন জন্মদিন শেখ হাসিনার। তখন তারা এইভবে চিৎকার করে অপোজিটে বক্তব্য দিচ্ছেন।
দলের এমন পরিস্থিতি এর আগে দেখেননি মন্তব্য করে সাজেদা চৌধুরী বলেন, আজ শেখ হাসিনার জন্মদিন। অথচ ওপাশ থেকে পাল্টা বক্তব্য হচ্ছে। যেন ওপোজিশন নেতারা চ্যালঞ্জে দিয়ে বক্তব্য দচ্ছিনে। এটা এর আগে কোন দেখি নাই। আমি আশা করি আর কোনদিন দেখবোনা। আপনার সতর্ক থাকবেন। যার বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে এসব করছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।
হাসুন মাহমুদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করে সাজেদা বলেন, তিনি কে? এসময় পাশে থাকা নেতারা বলেন, হাসান মাহমুদ। আমাগো পরিবেশের হাসান। হাসান মাহমুদ চৌধুরী। সাজেদা বলেন, যাক চৌধুরী আপনারা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, উনি কে, এই দল কে। এইদল বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ছিলো না। সব নেতারা গায়েব হয়ে গিয়েছিলো। সিঁড়িতে লাশ তিনদিন পরে ছিলো কেউতো আসে নাই। কথা বলেনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিলেন? আমি জানি। কিভাবে উনি নেতা হয়েছেন তাও জানি। এই ধরনের আস্ফোলন আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে দেখিনি।এখন নতুন নতুন নেতা জন্মে বেয়াদবি শুরু করেছে।
হাসান মাহমুদকে উদ্দেশ্যে করে সাজেদা বলেন, হাসান মাহমুদকে বলবো, আপনি একটু সংবরণ করুন। আমি শেষ করছি। এই বেয়াদবি কখনো সহ্য করবো না। এই পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য এর আগে কখনো হয়নি। এখন থেকে এখানে কোন পাল্টা সমাবেশ আর হবে না।
তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কর্মী। আমি আপনাদের কাছে বিচার দিয়ে গেলাম। উনি কবে আসছেন, কখন আসছেন। আমার সাথে পাল্টা-পাল্টি করতে চান। ইতিহাস সব আমার জানা আছে। যারা গলা লম্বা করে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা আমি কখনো সহ্য করবো না।
এই বেয়াদবি সহ্য করবো না মন্তব্য করে সাজেদা বলেন, আজকে নতুন নতুন নেতা। উনাকে বলবো নতুন নতুন আইছেন। আস্তে আস্তে দেখেন। এসময় পাশের এক নেতা বলেন, আপা আপনি খেয়াল করেন নাই। প্রোগ্রাম পুরা বন্ধ করে দেয়া হইছে। আমি বন্ধ করে দিছি।
সাজেদা বলেন , বঙ্গবন্ধু হত্যার পর লাশ পরে ছিলো তিনদিন। কেউ আসে নাই। একা দাঁড়িয়েছিলাম, একা প্রতিবাদ করেছি। কেউতো আসেনি। সেদিন তো কেউ ছিলো না।
তিনি বলেন, এখানে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য হবে না। এটা জামায়াতি কায়দা। পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আওয়ামী লীগ অতীতে করেনি।