প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম জানাজা বাদ জোহর পলস্নবীর মসজিদুল আমান জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে রওনা হন। সেখানেই রবিবার তাকে দাফন করা হবে।
শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর মিরপুরের পলস্নবীর মসজিদুল আমান জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনরা ছাড়াও হুমায়ূন আহমদের পরিবারের শুভানুধ্যায়ী, বিশিষ্টজন ও এলাকাবাসী অংশ নেন।
আয়েশা ফয়েজের ছোটছেলে জনপ্রিয় লেখক আহসান হাবিব জানান, শনিবার মোহনগঞ্জে নানাবাড়িতে মায়ের মরদেহ রাখা হবে। রবিবার সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাবা ও নানীর (মায়ের মা) কবরের পাশে মাকে দাফন করা হবে।
এর আগে, শনিবার সকাল ৭টায় ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হুমায়ূন আহমেদের মা। এরপর সকাল ৯ টায় আয়েশা ফয়েজের মরদেহ ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে মিরপুরের পলস্নবীর নিজ বাসায় নেয়া হয়। সেখানে তাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য আত্মীয়-স্বজন, পরিবারের শুভানুধ্যায়ী, বিশিষ্টজন ও এলাকাবাসী ছুটে আসেন।
৮৫ বছর বয়সী আয়েশা ফয়েজ কিছু দিন আগে বার্ধক্যজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। হার্ট ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
আহসান হাবিব পলস্নবীর বাসায় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বাবাকে হারানোর পর মা ছিলেন আমাদের অভিভাবক। তিনিই আমাদের কষ্ট করে বড় করেছেন। তার মৃত্যুতে আমাদের পরিবারকে অভিভাবক-হারাতে হলো।
বড় ছেলে হুমায়ূন আহমেদ মারা যাওয়ার পর আয়েশা ফয়েজ মানসিকভাবে অনেক ভেঙ্গে পড়েন। তারপর থেকেই তিনি মাঝে মাঝে অসুস্থ থাকতেন বলে জানান আহসান হাবিব।
বড় ছেলে হুমায়ূন আহমেদ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আয়েশা ফয়েজের আরেক ছেলে জননন্দিত লেখক ড. জাফর ইকবাল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
জানাজা শেষে জাফর ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, তিনি শুধু আমাদের পাঁচ ভাইবোনের মা ছিলেন না। তিনি হাজারো সনত্মানের মা। জীবনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে তিনি আমাদের মানুষ করেছেন। আমাদের বুকে আগলে রেখেছেন।
মোহনগঞ্জে আমার বাবার কবর রয়েছে। সেখানে নানীর (মায়ের মা) কবর রয়েছে। সেখানেই রোববার তাকে দাফন করা হবে, বলে জানান জাফর ইকবাল।