সীমান্তে ফেলানী হত্যা মামলা পুনর্বিচারে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ফেলানীর বাবা ও মামাকে আবরো ভারতে ডাকা হতে পারে।
বিএসএফের পক্ষ থেকে এজন্য ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মামা আব্দুল হানিফকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিজিবির ৪৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আখন্দ জানান, কুচবিহারের বিএসএফ সেক্টর সদর দফতরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচার অব্যাহত রয়েছে। সোমবার এই পুনর্বিচার শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, এই কোর্টে পুনরায় ফেলানীর বাবা ও মামার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হতে পারে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে তাদের প্রস্তুত রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই যাওয়ার বিষয়ে তাদের ব্রিফিং করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।
বুধবার বিজিবির ব্রিফিংয়ে ফেলানীর বাবা ও মামার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিকাল ৩টার দিকে তারা কুড়িগ্রাম জেলা শহরের ভোকেশনাল মোড় এলাকায় অবস্থিত ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে অবস্থান করছিলেন।
এ প্রসঙ্গে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম জানান, ফেলানী হত্যার বিচার নিয়ে হতাশ হলেও ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা তিনি ছাড়েননি। এজন্য আবারও সাক্ষ্য দিতে তিনি কুচবিহারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফেরার সময় গুলি করে হত্যা করা হয় ফেলানী খাতুনকে।
দেশে-বিদেশে সমালোচনা হওয়ার পর এ ঘটনায় হত্যা মামলায় ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের সোনারী এলাকায় অবস্থিত ১৮১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে স্থাপিত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৩ আগষ্ট।
বিচার শেষে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য ভারতের চৌধুরীহাট বিএসএফ ক্যাম্পের কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষণা করে আদালত।