জাতীয় সংসদে বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা পাশের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আহুত সোমবারের হরতাল কর্মসূচি বানচালে সরকার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আলমগীর বলেন, আগামীকালের শান্তিপূর্ণ হরতাল বানচাল করতে সরকার দেশব্যাপী বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তল্লাশির নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে।
তিনি বলেন, বাগেরহাট, খুলনা জেলায় ফুলতলা উপজেলা, নোয়াখালী, ঝালকাঠি , নারায়ণগঞ্জে, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদীসহ সারাদেশে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করছে পুলিশ।
বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের এবং পাইকারি হারে গ্রেফতারের ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক ও অমানবিক আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মির্জা আলমগীর বলেন, ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জোর করে জনগণের কাঁধে চেপে বসা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী দলকে দমন করার হীন চক্রান্তের অংশ হিসেবে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় জড়িয়ে হেনস্তা করছে। গ্রেফতার করে রিমান্ডের নামে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালাচ্ছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকা সোমবারের শান্তিপূর্ণ হরতালকে বানচাল এবং নেতাকর্মীদের মনে আতংক সৃষ্টির লক্ষ্যেই দেশব্যাপী গ্রেফতারি হিড়িক শুরু করেছে বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীনরা।
তিনি আরও বলেন, জনসমর্থন শুন্যের কোঠায় আঁচ করতে পেরে জোর করে ক্ষমতা গ্রহণের শুরু থেকেই ক্ষমতাসীনরা দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কব্জায় এনে দেশব্যাপী তান্ডব সৃষ্টির এক মহাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে। আর এসব করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে-ক্ষমতা হাতছাড়া হয়ে জনরোষের মুখে দেশত্যগের পথও যেন বন্ধ না হয়ে যায়।
মির্জা আলমগীর সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরো বলেন, দমন-পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে থামানো যাবে না, বরং নির্যাতনের মাত্রা যতই বৃদ্ধি করা হবে ততই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা সুসংগঠিত হয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে চলমান আন্দোলনকে আরো বেগবান, গতিশীল ও শক্তিশালী করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবে।