বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। সোমবার কর্মদিবস শেষে রিজার্ভ এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।
গত নভেম্বর থেকে সর্বশেষ সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রায় চার মাস এই রিজার্ভ এক হাজার কোটি ডলারের নিচে অবস্থান করে। ফলে দীর্ঘদিন চাপের মুখে ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সোমবার কর্মদিবস শেষে রিজার্ভের পরিমাণ আবার এক হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমে প্রায় ৯শ’ কোটি ডলারে নেমে আসে। অক্টোবর মাসে তা আবার হাজার কোটি ডলার ছাড়ায়। তবে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তা ৯শ’ কোটি ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছিল। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে তা বাড়তে শুরু করে।
সূত্র বলছে, রিজার্ভের ওপর চাপ থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ডলার বিক্রি করছে না। একই সঙ্গে আমদানির ক্ষেত্রে কোন ধরনের পণ্য আনা হচ্ছে তা দেখে ডলার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে প্রবাসীরা বিগত দুই মাস রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছে। আর এসব সূচকের কারণে বাংলদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বেড়েছে।
তথ্য মতে, প্রবাসীরা গত ডিসেম্বর মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠায়। ওই মাসে তারা ্েরকর্ড পরিমাণ ১১৪ কোটি ডলার দেশে পাঠায়। কিন্তু তার পরের মাস জানুয়ারিতে পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙ্গে প্রবাসীরা মোট ১২১ কোটি ডলার পাঠায়।
সূত্র জানিয়েছে, চাহিদা অনুপাতে ডলারের সরবরাহ না বাড়ায় টানা ২২ মাস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে থাকার পর গত সেপ্টেম্বরে তা ৯ বিলিয়নে নেমে আসে। এর পর অক্টোবরে তা আবার ১০ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। নভেম্বরে আবার নেমে আসে ৯ বিলিয়নে। ডিসেম্বর জুড়ে এটি ৯ বিলিয়নের ঘরে ছিল।
এদিকে, ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড করে। সে সময়ে এর পরিমাণ গিয়ে দাড়ায় ১১শ’ কোটি ডলারের ওপরে।