বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, “বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে খুশি করার জন্য মধ্যবর্তী নির্বাচন নিতে পারে সরকার। জনগণকে বিভ্রান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা চলছে।”
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর এ কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৭ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর বলেন, “মধ্যবর্তী নির্বাচন দেয়ার আগে আওয়ামী লীগ জয় লাভের আশায় কূটকৌশল চালাচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেতাদের একের পর একজনকে জেলে ঢোকানোর পাঁয়তারা এবং ২০ দলীয় জোট ভাঙার চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় এ সরকার।”
তিনি বলেন, “ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যহত রয়েছে, শুধু কৌশল পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করার পথে হাঁটছে এ সরকার। একদিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে অন্যদিকে মামলায় জেল দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য প্রমাণ করতে চাচ্ছে।”
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “বিএনপি নেতারা যদি বেইমানি না করতো তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হতো না, তারেক রহমানেরও এমন অবস্থা হতো না। তারেক রহমানকে নির্যাতনের মমাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দলকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু তারা জানে না কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলেও আদর্শের মৃত্যু হয় না।”
গয়েশ্বর বলেন, “জনতার রায়ের কাছে আদালতের রায় তুচ্ছ। সরকারকে বিদায় নিতে হবে। মানুষ এ সরকারকে চায় না। জনগণ না চাইলে সরকার বেশি দিন থাকতে পারে না।”
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “বাংলাদেশ একটি ভয়ঙ্কর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সংসদে যারা আছে তারা খুনি, সন্ত্রাসী, চোর। ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে এদের বিদায় করতে হবে।”
শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু প্রমুখ।