চারশো ছোঁয়া হলো না। আটলেটিক বিলবাও-র বিরুদ্ধে গোল পেলেন না লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার ২-০ জয়ে দুটো গোলই নেইমারের। আর দুটো গোলের কারিগরই মেসি। যার জন্য বার্সা কোচ লুই এনরিকে বলেও দিলেন, তার ম্যান অব দ্য ম্যাচ আর কেউ নয়, এলএম টেন।
কাতালোনিয়ার জাতীয় দিবস উপলক্ষে এ দিন ন্যু কাম্পে কাতালান পতাকার লাল-হলুদ রংয়ের জার্সি পরে মাঠে নামে বার্সেলোনা। আর এই বিশেষ দিনকে আরও স্মরণীয় করে রাখলেন ব্রাজিলের ‘ওয়ান্ডার কিড’। দ্বিতীয়ার্ধে মুনিরের জায়গায় পরিবর্তে নেমে পাঁচ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করলেন নেইমার। যে দু’গোলের কারিগর ছিলেন স্বয়ং মেসি। ম্যাচ যত গড়িয়েছে, ন্যু কাম্প হয়ে উঠেছে কাতালোনিয়া সমর্থকদের স্বাধীনতা দাবির মঞ্চ। বার্সার ঘরের মাঠে প্রতি ম্যাচেই দেখা যায় মেসি অথবা জাভি নিয়ে ব্যানার প্রদর্শন। কিন্তু কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার জন্য আবেদন করার ব্যানার দিয়েই এ দিন ভরে ওঠে পুরো গ্যালারি। বার্সা গোল করার পরে চলে সমর্থকদের চিৎকার, ‘আমরা স্প্যানিশ নই। আমরা কাতালান।’
ম্যাচের পর বার্সা কোচ এনরিকের দাবি, মেসির জন্যই তিন পয়েন্ট পেল তার দল। “মেসি দুর্দান্ত খেলেছে। শুধু গোল করার জন্যই ও বিশ্বের সেরা ফুটবলার নয়। গোল সাজিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও দারুণ।” এ দিন প্রথমার্ধে অনেক সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারেনি বার্সা। কিন্তু নব্বই মিনিট রক্ষণ ও আক্রমণ দেখে খুশি বার্সা কোচ বলেন, “দলের সবাই ভালো খেলেছে। রক্ষণ থেকে আক্রমণ সব জায়গায় দাপট ছিল আমাদের।” মেসি ছাড়াও সের্জিও বুস্কেত্সের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বার্সা কোচ বলেন, “কখন কোন পজিশনে থাকতে হবে ভালো করেই জানে ও। হোল্ডিং মিডফিল্ডে বুস্কেতস বিশ্বের সেরা ফুটবলার।”
নেইমার ঘরের মাঠে এমন দাপট দেখিয়ে সপ্তম স্বর্গে। ম্যাচ শেষে বলে দিলেন, এখনও পর্যন্ত এই ম্যাচটাই তাঁর বার্সা জার্সিতে সেরা পারফরম্যান্স। বলেন, “নিজের খেলায় খুব খুশি আমি। আসল জিনিস ছিল দলকে সাহায্য করা। আরও ভালো খেলব ভবিষ্যতে।”