`ভাবছিলাম আমাগরে ম্যাডাম কিছু একটা কবি`

`ভাবছিলাম আমাগরে ম্যাডাম কিছু একটা কবি`

‘ভাবছিলাম বগুড়ার লোকজনের উদ্দেশ্যে আমাগরে ম্যাডাম কিছু একটা কবি। খালি আমরা না ভাই, সংবাদিকরাও কাল (রোববার) রাত থেকে খালেদা জিয়ার কথা শোনার জন্য বসে ছিল। রবিবার দিনে বগুড়া শহরে ৬ বার বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যাওয়ায় মনে করছিলাম অবশ্যই কিছু একটা কবি খালেদা জিয়া। কিন্তু আগে থেকে কোন কথা না থাকার জন্য আমাগরে নেত্রী কোন কথাই বলল না।’

সোমববার বেলা ১২টায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বগুড়া সার্কিট হাউস ত্যাগ করার পর বাইরে অপেক্ষমান বিএনপি সমর্থকরা এমন খোলামেলা আলোচনাই করছিলেন।

এদের কেউ কৃষক, কেউ পানের দোকানদার, কেউবা আবার ফলের দোকানদার। তাদের অনুভূতি এমন ছিল যে, দলের জন্য সবরকম ত্যগ স্বীকার করতে রাজি তারা।

বাংলানিউজকে তারা বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ সরকার। তাই ভাছিলাম সরকারের কিছু ভুল ত্রুটি তুলে ধরে বগুড়ার মানুষের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া হয়তো কিছু একটা বলবেন।’

কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি না থাকায় সেরকম কিছু সম্ভব হয়নি বলে জানালেন বগুড়া জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী।

এদিকে, খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে রোববার সকাল থেকেই সাজ সাজ রব ওঠে গোটা বগুড়া জেলায়। সকাল থেকেই যেন ছোট ছেট দলে বিভক্ত হয়ে নেতা-কর্মীরা অধীর আগ্রহে ব্যস্ত ওঠেন কখন খালেদা জিয়া বগুড়ার মাটিতে পা দেবেন। এক নজর তাকে দেখার জন্য বগুড়াবাসী উদগ্রীব হয়ে ওঠে। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে আর রাস্তায় ফুল বিছিয়ে দিয়ে এ যেন অন্যরকম এক শুভেচ্ছা। এছাড়া দল ও দলের চেয়ারপার্সনের প্রতি গভীর ভালবাসা ও আনুগত্য প্রকাশ করতে জেলায় নির্মাণ করা হয় প্রায় আড়াইশ’ তোরণ।

সোমবার দুপুর পর্যন্ত সারা শহর জুড়ে একটাই কথা শোনা গেলো- খালেদা জিয়া কি বলেছেন, কি বলবেন।

বগুড়া জেলা বিএনপি সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আগে থেকে এ ধরনের কোন কর্মসূচি না থাকায় খালেদা জিয়া কোন বক্তব্য দেননি।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ কয়েকটি দাবিতে লালমনিরহাটের জনসভায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে সোমবার বেলা ১২টায় বগুড়া সার্কিট হাউস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া।

উল্লেখ্য, সবশেষ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে রাজশাহী অভিমুখী লংমার্চ উপলক্ষে উদ্দেশ্য করে গত বছরের ১৮ অক্টোবর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বগুড়ায় এসেছিলেন।

রাজনীতি