সারদার আমানতকারীদের অর্থে বাংলাদেশে মৌলবাদীদের পুষ্ট করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। আর এই অর্থ পাচারের পেছনে তৃণমূল কংগ্রেসের এক রাজ্যসভা সাংসদের নাম ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আবিদা ইসলামকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডেকে পাঠানোর ঘটনাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এ খবর জানিয়েছে দৈনিক হিন্দু পত্রিকা। তবে আবিদা ইসলাম এ খবর অস্বীকার করেছেন।
এদিকে বাংলাদেশে মৌলবাদী আন্দোলনকে পুষ্ট করতে সারদার আমানতকারীদের অর্থ যার মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেই তৃণমূল সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান সম্পর্কে মৌলবাদী যোগাযোগের নানা তথ্য সংবাদ মাধ্যমে উঠে আসছে। ইমরান জামায়েতের সংবাদপত্র ‘নয়াদিগন্ত’ এবং ‘দিগন্ত টিভির’ ভারত প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। ফলে তার সঙ্গে জামায়েত নেতাদের যোগাযোগ থাকাটা স্বাভাবিক। এখনও বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের অতিথির তালিকায় তার নাম রয়েছে।
ইমরান একসময় ভারতে সিমির (স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া) প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। পশ্চিমবঙ্গে সিমিরও প্রধান ছিলেন তিনি। সিমির মুখপত্র হিসেবে ‘কলম’ নামে একটি সাময়িকীও তিনি প্রকাশ করতেন। সেটিই মমতা সরকার গঠনের পর সারদা গোষ্ঠীর কাছে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়। সেটি তখন ইমরানের সম্পাদনাতেই দৈনিক হিসেবে প্রকাশিত হয়। বাঙালি মুসলমানদের কাগজ হিসেবে তুলে ধরতে এটির উদ্বোধনে মমতা নিজেই হাজির হয়েছিলেন।
সিমি ২০০১ সালে ভারতে নিষিদ্ধ হলেও ইমরান তার সম্পর্ক বজায় রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে বিভিন্ন গোয়েন্দা এজেন্সির রিপোর্টে। পশ্চিমবঙ্গে মৌলবাদী কাজে তার যোগাযোগ সম্পর্কে রাজ্যের গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন উঠেছে, এসব জানা সত্ত্বেও মমতা তাকে রাজ্যসভার সাংসদ করলেন কেন?
তবে ইমরান তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচার হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।