বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এমন গুজবে প্রতিষ্ঠানটির পল্টন অফিসে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি এক শীর্ষ পদে নিয়োগের বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠানে সাময়িক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এর পর থেকে গুজবের ডালপালা গজাতে শুরু করে।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু এতে জাতীয় এমন বড় একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেই সরকারের।
বাসসের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “বন্ধের বিষয়টি কেবলই গুজব। বাসস তো সরকারি প্রতিষ্ঠান, এটি বন্ধ হবে কেন। অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা থাকলে থাকতে পারে, কিন্তু তাতে হঠাৎ বন্ধ হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই। সরকারি মহলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের কোনো চিন্তাই নেই। বিষয়টি কল্পনাপ্রসুত।”
দেড় বছর ধরে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক পদ ফাঁকা ছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর ওই পদে প্রতিষ্ঠানের বিশেষ সংবাদদাতা মনোজ কান্তি রায়কে নিয়োগ দেয়া হয়। বিষয়টি পছন্দ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন কর্মকর্তা-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে মনোজ কান্তি রায়কে তার কক্ষে আটকে রাখা হয়। বিক্ষুব্ধরা বাসস কার্যালয়ের টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ এবং পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আলোচনার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বন্ধ হওয়ার খবর প্রসঙ্গে বর্তমান ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মনোজ কান্তি রায় বলেন, “বাসস নিয়ে কেউ বিভ্রান্তির চেষ্টা করতে পারে। একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান এভাবে বন্ধ হতে পারে না। আমার জানা মতে বন্ধের বিষয়টি শতভাগ অসত্য। আমার জানার বাইরে কিছু থাকলে সেটা তো বলতে পারব না।”
কর্মকর্তা-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, “আমরা একটি বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছি। এতে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার মতো কিছু নেই। আমাদের একটা দাবি ছিল, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নিয়োগের বিষয়ে। ওই দাবিতেই আমাদের আন্দোলন চলছে।”
তিনি বলেন, “আগামী শনিবার থেকে তিনদিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করব আমরা। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি আমাদের কাজও চলবে।”