ঝকঝকে সাদা দাঁত সবার পছন্দ। মুক্তঝরা হাসি হোক, কিংবা সামান্য কথা বলা, ঝকঝকে সাদা দাঁতের মর্যাদাই আলাদা। আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতেও এর জুড়ি নেই।
অথচ আমাদের আলসেমির কারণেই দাঁতের বারোটা বেজে যায়। সাদা রাখার কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করলে আনায়াসেই আমরা সুন্দর দাঁতের অধিকারী হতে পারি।
যাদের বেশি বেশি চা, পান, কোমল পানীয় বা সিগারেটের অভ্যাস আছে তাদের দাঁত ঝকঝকে সাদা হবে এমনটা আশা না করাই ভালো। এসব খাবারে দাঁতের ওপর একধরনের দাগ পড়ে।
যদি এগুলো একান্তই মুখে পুরতে হয়, তবে খাওয়ার পরপরই ভালো করে দাঁত ব্রাশ করে ফেলুন। নতুবা এই হালকা দাগই এক সময় স্থায়ীভাবে বসে যাবে দাঁতে।
টুথব্রাশের দিকেও নজর দেবেন। কম পয়সার বাজে টুথব্রাশ ব্যবহার করে আপনার মূল্যবান দাঁতের সর্বনাশ করবেন না।
টুথব্রাশ দুই মাস অন্তর পাল্টে ফেলুন।
সপ্তাহে অন্তত একবার বেকিং সোডা টুথপেস্টের মতো ব্যবহার করুন। এতে দাঁত আরো সাদা হবে। তবে সোডা গিলে ফেলা কিন্তু ঠিক হবে না। লবণ দাঁত পরিষ্কারক। তাই সামান্য লবণ টুথপেস্টের সাথে ব্যবহার করা যায়। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা আছে, তাদের লবণ দিয়ে দাঁত ব্রাশ না করাই ভালো।
প্রতিদিন সকালে দাঁত ব্রাশের আগে আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত ঝকঝকে সাদা হবে। সেই সাথে দাঁত ও মাড়ির ব্যাকটেরিয়াও দূর হবে। ভিনেগার দাঁতের লালচে দাগ দূর করে দাঁতের সৌন্দর্য বাড়ায়।
আপেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক টুথব্রাশ। খাওয়ার পরে আপেল খেলে দাঁত সাদা হয়। এ ছাড়া গাজর, পপকর্নও দাঁত সাদা করে। দাঁত সাদা করতে খাবারের পর এসব খাবার খাওয়া যেতে পারে।