লেবার পার্টির নেতৃত্বের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেভিন রাডকে পরাজিত করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড জুলিয়া গিলার্ডের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারেরও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
লেবার পার্টিতে জুলিয়া গিলার্ডের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তিনি গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে আকস্মিক সরে দাঁড়ান রাড। এরপরই তিনি দলের অভ্যন্তরে জুলিয়া গিলার্ডের নেতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
জুলিয়া গিলার্ড তার নেতৃত্বকে টিকিয়ে রাখতে এবং কেভিন রাডের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় লেবার পার্টির অভ্যন্তরে নির্বাচন আহ্বান করেন। সোমবার এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
লেবার দলীয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড ২০১০-এর জুন মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন। কেভিন রুড ২০০৭ থেকে ২০১০ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সোমবারের ভোটে জুলিয়া গিলার্ডের পক্ষে ৭১টি এবং কেভিন রাডের পক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৩১টি।
দলের ভেতর ও বাইরে নানা সমস্যার সম্মুখীন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই জয় স্বস্তি বয়ে আনবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে পরাজিত হওয়ার পর কেভিন রাড জুলিয়া গিলার্ডকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
জুলিয়া গিলার্ড টিকে গেলেও অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পদত্যাগ করা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেভিন রাডের স্থলে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে তা নিয়ে এখন কৌতূহল বিরাজ করছে অস্ট্রেলিয়ায়।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কেভিন রাড তার প্রতিদ্বন্দ্বী জুলিয়া গিলার্ডকে সোমবারের ব্যাপক বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলরদের দেওয়া রায়কে আমি কোনো দ্বিধাহীনভাবে মেনে নিচ্ছি।’ আগামী সাধারণ নির্বাচনে জুলিয়া গিলার্ডের পক্ষে কাজ করার জন্য নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করারও অঙ্গীকার করেন তিনি।