ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েল: উইকিলিকস

ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েল: উইকিলিকস

কুর্দি যোদ্ধাদের সহায়তায় ইরানের পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। সোমবার উইকিলিকসের ফাঁস করে দেওয়া একটি মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানের ইমেইলে এমন দাবি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বেসরকারি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান স্ট্র্যাটফরের একটি ইমেইলে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ইতোমধ্যেই ইরানের পরমাণু গবেষণা অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে। তবে এই তথ্যের উৎস নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাসের সহযোগিতায় উদ্ধার করা স্ট্র্যাটফরের ৫০ লাখেরও বেশি ইমেইল সোমবার থেকে প্রকাশ করা শুরু করেছে উইকিলিকস। এসবের মধ্যে একটি ইমেইলে দেখা যাচ্ছে, স্ট্র্যাটফরের কর্মকর্তারা ইরানের পরমাণূ স্থাপনা ধ্বংসের খবর নিয়ে আলোচনা করছেন। নিজস্ব সোর্স থেকে তারা জানতে পেরেছেন, ইসরায়েলি কমান্ডোরা কুর্দি যোদ্ধাদের সহায়তায় ইরানের পরমাণু গবেষণা স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির সোর্সদের কাছ থেকে ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আসা ৫০ লাখেরও বেশি চুরি করা ইমেইল কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে অংশীদারিত্বভিত্তিতে প্রকাশ করার কথা গত রোববার রাতেই ঘোষণা দিয়েছে উইকিলিকিস। সোমবার এ ব্যাপারে লন্ডনে একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের।

এসব ইমেইলে গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে মার্কিন সরকার, বড় করপোরেশন এবং তার নেটওয়ার্কের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে বলে জানিয়েছে উইকিলিকস।

এসব ইমেইলের তথ্য মোতাবেক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দপ্তর, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা এবং মেরিন সেনারা। আরো আছে মার্কিন কোম্পানি ডাউ ক্যামিকেল- এই কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে ভারতের ভোপালের রাসায়নিক প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন, নর্থ্রপ গ্রুমান এবং রেথিওন স্ট্র্যাটফরের গ্রাহকের মধ্যে অন্যতম।

আন্তর্জাতিক