জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ করতে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দিন সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
আসামিপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
এটিএম আজহারের পক্ষে আজ সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী শিশির মো. মুনির।
এর আগে গতকাল আজহারের আরেক আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার মামলার সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে যুক্তি উপস্থপন শেষ করেন। এ সময় চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুসহ প্রসিকিউশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৪ আগস্ট আজহারের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য এই দিন ঠিক করে আদেশ দেন। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে আজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তার বিরুদ্ধে সর্বমোট ১৯ জন প্রসিকিউশনের সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন।
একই বছরের ১২ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল-১।
এসব অভিযোগে তদন্তকালে ৬০ জনেরও বেশি ব্যক্তির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ মামলাটি তদন্ত করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা (আইও) এসএম ইদ্রিস আলী।
প্রসিকিউশনের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের স্বার্থে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আজহারকে সেফ হোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
২০১৩ সালের ১৮ জুলাই আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।
ছয়টি অভিযোগের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়েছে। মোট চারটি ভলিয়মে ৩০০ পৃষ্ঠার নথিপত্র দাখিল করা হয়।
এর আগে গত বছরের ৪ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের ৯ ধরনের অভিযোগে তদন্ত শেষ করে তদন্ত সংস্থা প্রসিকিউশন বরাবর তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করে।
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে রংপুর অঞ্চলে ১২২৫ ব্যক্তিকে গণহত্যা, চারজনকে হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক ও ১৩ জনকে নির্যাতন করা এবং শতশত বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে এ আসামি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের আদেশে রাজধানীর মগবাজারস্থ নিজ বাসা থেকে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।