সিরিয়া পরিস্থিতি যে কোনো সময় গৃহযুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চীন ও রাশিয়ার ভেটো এবং দেশটিতে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিরীহ মানুষ হত্যা প্রসঙ্গে দেওয়া এক বক্তব্যে এই আশঙ্কার কথা বলেন হিলারি।
তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো সেখানে ইরাকের মতো সহিংসতা চলছে এবং সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই।’
কিন্তু বেইজিং মনে করে, সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধে রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদকে সুযোগ দেওয়া উচিৎ।
এদিকে সোমবার চীনের একটি বামপন্থী পত্রিকা লিখেছে, ইরাক অভিজ্ঞতার পর আরবীয়দের ব্যাপারে নাক গলানোর কোনো অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।
অপরদিকে ইয়েমেনি প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ’র মতো ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব চীন ও রাশিয়ার ভেটোর কারণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নাকচ হয়ে গেলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার ব্যাপারে এখনো কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে। তারা ইউরোপের বিভিন্ন ব্যাংকে সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ জব্দসহ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জোরদার করেছে।
এদিকে সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী দেশটির উত্তরাঞ্চলে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রিত শহরগুলোর আবাসিক এলাকায় হামলা জোরদার করেছে বলে জানা গেছে। সরকারি বাহিনী সোমবার উত্তরের বিন্নিস ও ইদলিব শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও মর্টার হামলা করেছে।
অন্যদিকে হোমস শহরেও বিরোধীদের ওপর সরকারি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।