৩৩ বছর পর ক্ষমতা ছাড়লেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ। গতকাল সোমবার রাজধানী সানায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তিনি দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মনসুর আল-হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
ক্ষমতা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সালেহ বলেন, ‘আমি প্রজাতন্ত্রের বিপ্লবের পতাকা এমন একজন ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করেছি, যার কাছে সিরিয়ার স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিরাপদ।’
২০১১ সালের নভেম্বরে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যস্থতায় করা ক্ষমতার পালাবদল পরিকল্পনায় সই করেন সালেহ। ওই পরিকল্পনার শর্ত অনুযায়ী ইয়েমেনের নতুন প্রেসিডেন্ট মনসুর আল-হাদি আগামী দুই বছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন।
আলী আবদুল্লাহ সালেহ আরও বলেন, তিনি নতুন প্রেসিডেন্টের পাশে থাকবেন। জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সন্ত্রাস নির্মূলে জনগণকে নতুন প্রেসিডেন্টের পাশে একত্র হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সালেহ বলেন, দেশে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই।
নতুন প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, গত বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে পড়েছে এবং দেশব্যাপী বিরাজমান নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি দূর হয়নি। এ সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তিনি জনগণকে তাঁর নতুন নেতৃত্বের প্রতি সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। মনসুর হাদি তাঁর দুই বছরের ক্ষমতার মেয়াদের শেষের দিকে ইয়েমেনে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পালাবদল ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি নতুন নেতাকে স্বাগত জানাতে আমরা এই কক্ষে আবারও মিলিত হব।’
এর আগে গত শনিবার ইয়েমেনের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনসুর হাদি শপথ নেন। দেশটির পার্লামেন্টের সামনে ওই শপথ অনুষ্ঠান হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর উত্তরসূরি নির্ধারণে চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন মনসুর হাদি।