সাইবার হয়রানি থেকে রক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সহায়তা করতে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। তাই কেউ যদি অনলাইনে কোনো ধরনের হুমকি বা সমস্যায় পড়েন, তবে তাদের ০১৭৬৬-৬৭৮৮৮৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, সাইবার অপরাধ দমনে আইসিটি বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) দেশের বিভিন্ন স্তরের আইটি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। পাশাপাশি সাইবার আক্রমণের শিকার ব্যক্তিদের সহায়তায় নম্বরটি থেকে ২৪ ঘণ্টার পরামর্শসেবা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে যে কেউ এই হেল্পলাইনে সরাসরি ফোন করে অথবা এসএমএসের মাধ্যমে তার অভিযোগ জানাতে পারবেন।
অনলাইনের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন এমন অভিজ্ঞতা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করার পরামর্শ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই অভিজ্ঞতা অন্যকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। তাই প্রেম, বিয়ে, চাকরি অথবা যেকোনোভাবে প্রতারিত হয়ে থাকলে মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য আহ্বান জানাই। প্রয়োজনে ইনবক্সে মেসেজ পাঠান।”
জানা গেছে, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আইটি ফরেনসিক শাখায় ২০১৩ সালে ৪০টি সাইবার অপরাধ মামলার আলামত পরীক্ষার জন্য জমা হয়। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি থেকে এপ্রিল) এ সংখ্যা ২৭ ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর সংখ্যাটি দ্বিগুণের বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে সম্প্রতি সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে ইনসাইট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত সাইবার ক্রাইম-বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা জানান, দেশে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি সাইবার অপরাধ সংঘটিত হয় এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই অপরাধের ৯৫ ভাগ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
বৈঠকে দেশে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে বলা হয়, ২০০৪ সালে ই-মেইলের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার ঘটনায় সাইবার অপরাধ আলোচনায় আসে। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ৬৪টি জেলায় তথ্য বাতায়ন উদ্বোধনের পর প্রায় ১৯টি সাইট হ্যাক করে হ্যাকাররা।