কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গত এলাকায় ডায়রিয়া, আমাশয়, চর্ম রোগসহ পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে।
টানা তিন সপ্তাহের বন্যায় জেলার ৫৮টি ইউনিয়নের চারশতাধিক গ্রামের প্রায় তিনলাখ মানুষ পানিবন্দী ছিল। জেলার প্রায় ৩০ হাজার নলকূপ পানিতে তলিয়ে থাকায় এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট এখনো কাটেনি।
বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় বানভাসীরা বাড়িতে ফিরলেও বিড়ম্বনা তাদের পিছু ছাড়ছে না। বাড়ছে পানি বাহিত রোগীর সংখ্যা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী দুই সপ্তাহে এসব এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে ছয় শতাধিক মানুষ। দুর্গত এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের ৮৫টি মেডিকেল টিম কাগজে কলমে কাজ করার কথা বলা হলেও বাস্তবে তাদের দেখা পাচ্ছে না বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত পরিবারগুলো।
প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, আমাশয়, চর্ম রোগসহ পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর রোগব্যাধি নিয়ন্ত্রণ রাখতে বন্যা দুর্গত এলাকায় ৮৫ টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। বন্যাপরবর্তী বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের দুর্গত এলাকায় ক্যাম্প বসিয়ে চিকিৎসা ও ওষুধ দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে।