প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থা চালু করায় আমাদের শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। আজ পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৯২ শতাংশ। এই মেধাবী ছেলে-মেয়েদের ফেল করার প্রশ্নই আসে না। শুধু তাদের দরকার শিক্ষার পরিবেশ, তা আমরা তৈরি করেছি।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘গার্লস অ্যান্ড উইমেন লিটারেসি অ্যান্ড এডুকেশন : ফাউন্ডেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছি। শিক্ষা নীতিমালা বাসত্মবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, নারীদের ক্ষেত্রে বিশেষ বৃত্তিসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছি। আমরা প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার বিস্তার ঘটাতে পরিকল্পনা নিয়েছি, যাতে বাড়ির খেয়ে ছেলে-মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা যেন দেশের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি রক্ষা করে বিশ্বের সঙ্গে সমান তালে চলতে পারে তেমনভাবে শিক্ষিত করে তোলা।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণসাক্ষরতায় চ্যাম্পিয়ন ১৪টি দেশের প্রতিনিধিদের হাতে ইউনেস্কো লিটারেসি অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
নারী শিক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্য জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ইউনেস্কো সদর দপ্তর থেকে এ বছর বাংলাদেশকে এ সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ সম্মেলনে ৩৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন।