নিজের জমানায় টেনিস কোর্টে প্রতিপক্ষকে ‘লাভ’-এ হারিয়েছেন অনেক বার। সেই কোর্টেই এবার জীবনের ‘লাভ ম্যাচ’টাও খেলে জিতলেন মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা!
দীর্ঘদিনের বান্ধবী, রুশ সুন্দরী জুলিয়া লেমিগোভাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ‘হ্যাঁ’-এ জবাব পেয়ে।
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে আর্থার অ্যাশ কোর্টে তখন সদ্য ঘটেছে নোভাক জকোভিচ পতন। রজার ফেডেরারের নামা বাকি। দুই সেমিফাইনালের মাঝের বিরতিতে সাদা পোশাকে উজ্জ্বল নাভ্রাতিলোভা একটি চ্যানেলে বিশেষজ্ঞ মতামত দেয়ার ফাঁকে আচমকা পাশে দাঁড়ানো লেমিগোভার সামনে হাঁটু মুড়ে বসে তিন ক্যারেটের হিরের আংটি তুলে ধরেন।
বলেন, “তোমাকে ছাড়া জীবন ভাবতে পারি না। প্লিজ আমাকে বিয়ে করো!”
আবেগতাড়িত ‘হ্যাঁ’-এ জবাব দিয়ে লেমিগোভা জড়িয়ে ধরেন মার্টিনাকে। বড় স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচারে সেই ঘটনা দেখে ততক্ষণে হাততালিতে ফেটে পড়েছে গ্যালারি।
পরে সিঙ্গলস, ডাবলস মিলিয়ে ৫৯ গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জয়ী কিংবদন্তি বলেন, “খুব নার্ভাস ছিলাম। সব কিছু সিনেমার মতো হল। যেন শরীরের বাইরে বেরিয়ে গিয়ে নিজেকেই বিয়ের প্রস্তাব রাখতে দেখছিলাম!”
সাতান্নর নাভ্রাতিলোভার সঙ্গে বিয়াল্লিশের লেমিগোভার সম্পর্কটা ২০০৬ থেকে। স্তন ক্যানসারের সঙ্গে নাভ্রাতিলোভার যুদ্ধে পাশে ছিলেন দুই মেয়ের মা লেমিগোভা।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার আগে ১৯৯১-এ শেষ মিস ইউএসএসআর, মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় তৃতীয় লেমিগোভা প্যারিসের নামী মডেল ছিলেন। নিজের প্রসাধন কোম্পানি ও স্পা রয়েছে। দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি নাভ্রাতিলোভার সঙ্গেই থাকেন।
১৯৮১ সালে সমকামী হওয়ার কথা খোলামেলা জানানোর পর থেকে সমকামীদের অধিকারের লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থেকেছেন নাভ্রাতিলোভা।
জানিয়েছেন, বিয়েটা মায়ামিতে করবেন। যাতে ফ্লোরিডায় সমকামী বিয়ের সমানাধিকারের দাবি আরো মজবুত করে তুলে ধরা যায়।–ওয়েবসাইট।