মানবতাবিরোধী অভিযোগে আটক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিভিন্ন ডকুমেন্টস উপস্থাপন করেছেন প্রসিকিউটাররা।
গোলাম আযমের উপস্থিতিতেই সোমবার ট্রাইব্যুনালে এসব ডকুমেন্টসের কিছু অংশ প্রদর্শন করা হয়। তবে গোলাম আযম সম্পৃক্ত আছেন এমন কোনো ভিডিও চিত্র বা স্লাইড এতে দেখানো হয়নি। কৌশলগত কারণেই তা করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
ট্রাইব্যুনাল শেষে প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম ও রানা দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন।
তারা জানান, আইনি ও কৌশলগত কারণে গোলাম আযমের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো ভিডিও ক্লিপস আজই ট্রাইব্যুনালে দেখানো হয়নি। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী তা দেখানো হবে।
তারা আরও জানান, আজকে তাদের সংগৃহীত ডুকুমেন্টসের আংশিক দেখানো হয়েছে। যেহেতু গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়েছে তাই মূল ডকুমেন্টস না দেখানো একটি কৌশল।
এদিকে, গোলাম আযমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আজ তথ্য সম্বলিত যে ভিডিও ক্লিপস দেখানো হয়েছে সেগুলো হিন্দি ভাষায়। পরে তা বাংলায় ভাষান্তর করা হয়েছে। তার মানে সেগুলো ভারতের তৈরি।
তিনি বলেন, ভিডিওতে দেখানো হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উল্লাস, চূড়ান্ত বিজয়ের আগে পাকিস্তান ভূখণ্ডে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ। অবশ্য কিছু গণহত্যার চিত্র আমরা দেখেছি। তবে গণহত্যা আর যুদ্ধ নিয়ে আমাদের সংশয়ের কিছু নেই।
তিনি আরো বলেন, সবচেয়ে হতাশজনক কথা হচ্ছে এসব ডকুমেন্টসে গোলাম আযমের কোনো ধরনের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে প্রসিকিউশন। শুধু যুদ্ধের চিত্র ও গণহত্যা দেখিয়ে তারা আবেগ সৃষ্টি করতে চেয়েছে। আর আবেগ সৃষ্টি করে জনমতকে তাদের পক্ষে নিতে চায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা আদালত।
এদিকে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে উপস্থাপন করা ডকুমেন্টসের মধ্যে রয়েছে, সিডি ও ডিভিডিও। এগুলো ১৯৭১ সালে অপারেশন সার্চলাইট, গণহত্যা ও ধর্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদ থেকে নেওয়া। এর সংখ্যা প্রায় ১ হাজারের মত।
এছাড়া যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ স্টিফেন জে র্যাপের কিছু দালিলিক তথ্যও রয়েছে।