কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছধরা ট্রলারে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত ১৫টি ট্রলারসহ অপহরণ করা হয়েছে ৪০ জন মাঝি-মাল্লাকে। ডাকাতদের গুলিতে জখম হয়েছেন দুই জেলে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গভীর সাগরে এ গণডাকাতি হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- হানিফ এফবি নীলদরিয়া ট্রলারের জেলে মো. হানিফ (৫৫) ও মালেক। হানিফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) পাঠানো হয়েছে।
সাগর থেকে ফিরে আসা জেলেরা এ ঘটনা জানানোর পর মৎসবন্দর মহিপুর-আলীপুরের জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
মহিপুর আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি দিদার উদ্দিন আহম্মেদ গণমাধ্যমকে জানান, অন্তত ৫০টি ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। অপহরণ করা হয়েছে অন্তত ১৫টি ট্রলারের মাঝিমাল্লাদের। এর মধ্যে রয়েছে এফবি মায়ের দোয়া, এফবি ইসলাম, এফবি সুগন্ধা, এফবি রাকিবুল, এফবি নাসির।
অপহরণের শিকার জেলেদের মধ্যে রয়েছে আবু তাহের মাঝি (৪০), শফি মাঝি (৫৫), মোতালেব (৩২), রাকিব (৩০), নুরুল ইসলাম মাঝি (৪২), কালাম (৩২), জাহাঙ্গীর (৪৫) নাজিমউদ্দিন (৪২) মনির (৩৮), রফিক (৩৬), মোতাহার (৪৫), নিকুঞ্জ (৩৭), সুলতান মিয়া (৪৬), আব্দুল মান্নান মাঝিসহ (৫৫) অন্তত ৪০ জন।
লক্ষ্মীপুর-কুয়াকাটা মৎস ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি আনছার মোল্লা গণমাধ্যমকে জানান, নীলদরিয়া ট্রলারের হানিফকে গুলি করা হয়েছে। একই ট্রলারের মাঝি রত্তন (৪৫) ও অপর একটি ট্রলারের মাঝি সফিকে অপহরণ করা হয়।
এদিকে, সাগরে নিরাপত্তার জন্য কোস্টগার্ড-র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছে জেলেরা।
মহিপুর পুলিশি তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আবুল কাশেম জানান, সাগরে ডাকাতির খবরটি পেয়েছি।