এ কে খন্দকারকে আইনের আওতায় আনার দাবি হানিফের

এ কে খন্দকারকে আইনের আওতায় আনার দাবি হানিফের

hanifআওয়ামী সরকারের সদ্য সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম তার সদ্য প্রকাশিত ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ গ্রন্থে ভুল তথ্যের জন্য আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হনিফ।

হানিফ বলেছেন, ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় বাংলা’। কিন্তু এ কে খন্দকার বীর উত্তম তার সদ্য প্রকাশিত ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ গ্রন্থে দাবি করেছেন- ঐতিহাসিক সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের শেষ শব্দ ছিল ‘জয় পাকিস্তান’। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরে উনি এ কথাটা কোথায় পেলেন ?  ওই জনসভায় জাতির ৭ লাখ জনগণ ছিল। তাদের কেউ এই শব্দ শোনেনি। একজন সামরিক কর্মকর্তা হিসাবে তিনি ক্যান্টনমেন্টে বসে কিভাবে আবিষ্কার করলেন, কার উদ্দেশ্যে, কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে, কার প্ররোচনায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করা হচ্ছে সেটা দেখার বিষয়। তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

শুক্রবার দুপুরে নিজ বাসভবনে কুষ্টিয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খানসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আল-কায়েদার সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতের সম্পৃক্ততা আছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি একটি ভিডিও বার্তায় ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ-ভারতসহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে ঘাঁটি গাড়তে চাইছে জঙ্গিবাদী সংগঠন আল-কায়েদা। এ ঘোষণার সাথে বিএনপি ও জামায়াতের সম্পৃক্ততা আছে। এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরেই এ চেষ্টা করে আসছিলো। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশে জঙ্গিদের জন্য চারণভূমিতে পরিণত হয়েছিলো। বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র বানানো হয়েছিলো। সেই দিক থেকে তালেবান, আলকায়দা অথবা অন্য কোন জঙ্গি সংগঠন বাংলাদেশকে তাদের চারণ ভূমি হিসেবে মনে করবে এটাই স্বভাবিক।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর