চাঁদপুর শহরসহ জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা শুরু হয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত জোয়ারে পানি উঠে তা আবার ভাটায় নেমে যাচ্ছে। চাঁদপুর সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় অবস্থিত চরগুলো থেকে অবশ্য ভাটায় পুরো পানি সরছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের রহমতপুর আবাসিক কলোনি, পুরাণবাজার কলেজ রোড, পশ্চিম ও পূর্ব জাফরাবাদ, হরিসভা এলাকার কিছু কিছু অংশে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।
এদিকে চাঁদপুরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর পানিও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী চাঁদপুরের বড়স্টেশন এলাকায় মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর পানি শনিবার সকাল নয়টায় এবং সন্ধ্যার পর বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জেলায় বন্যা শুরু হয়ে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলেনি।
দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় অবস্থানরত চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ ইসমাইল হোসেন মুঠোফোনে জানিয়েছেন, তারা জেলার বন্যা কবলিত মানুষকে সহায়তা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ৩০০ মেট্রিক টন চাল দেবার জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন।