শুধু মতাদর্শের কারণেই মাওলানা নূরুল ইসলাম ফারুকীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশ।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা জালালুদ্দীন আল কাদেরী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জালালুদ্দীন আল কাদেরী বলেন, “আল্লামা ফারুকী আজীবন সুন্নিয়তের প্রচার ও ইসলামের সূফিবাদী দর্শনের বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে তুলে ধরেছেন। আর এজনই বাতিলপন্থী বিকৃত মতাদর্শীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। যারা এ ধরনের বর্বরোচিত হত্যায় জড়িত ও হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করেছিল তাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “কিছু পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে পুলিশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ফারুকী ব্যবসায়িক বা পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণেও খুনের শিকার হতে পারেন বলে প্রচার করেছে। এ ব্যপারে আমাদের বক্তব্য হলো- আমাল্লা ফারুকীর প্রতিপক্ষ শুধুমাত্র ইসলামের ছদ্মবেশী বাতিলরা। তাই আমরা বলতে চাই কেবল মতাদর্শের কারণেই তিনি খুন হয়েছেন। এছাড়া অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে না।”
তিনি আরো বলেন, “ইসলামের নামে গর্জে ওঠা জঙ্গিবাদী ইসলামে ছদ্মবেশী খুনি চক্রকে অবিলম্বে চিহ্নিত করে কাঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। ওদের এখনই দমন করতে না পারলে আগামী দিনে ওরা আরো ভয়ঙ্কর রূপে দেখা দিতে পারে।”
ফারুকীর মতো আর কোনো সুন্নি আলেমকে যেন এ ধরনের নির্মম পরিণতি বরণ করতে না হয় সেজন্য সুন্নি উলামা, পীর মাশায়েখদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান জালালুদ্দীন আল কাদেরী।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান শাহাজাদা গাউসুল আলম সৈয়দ সাইফুদ্দিন মাজভাণ্ডারী, প্রচার সম্পাদক রুহুল আমীন চাঁদপুরী, রাজধানীর মৌচাক জামে মসজিদের খতিব মাসুদ হোসেন আল কাদরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট পূর্ব রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হয়েছেন ফারুকী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুপ্রিম কোর্ট মাজার মসজিদে খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর পাশাপাশি চ্যানেল আইয়ের ‘শান্তির পথে’ও ‘কাফেলা’ নামে দুটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন তিনি। হজ কাফেলার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।