ছবির প্রেক্ষাপট ২০২০৷ স্হান গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ৷ আর্কিওলজিস্ট জে ফেনেল সেখানে অন্য প্রত্নতত্ত্ববিদের সঙ্গে যাত্রা করলেন গভীর সমুদ্রে৷ সেখানে একটি আঙটি খুঁজে পাওয়ার পর এক দুর্ঘটনায় জ্ঞান হারান ফেনেল৷ হাসপাতালে ভর্তি করার পর জানা যায় কোমায় চলে গেছেন ফেনেল৷ এদিকে, অচৈতন্য ফেনেল তখন চলে গেছেন তার পূর্ব জন্মে৷ সেটা ১৭৭৮ সালের ভারতবর্ষ৷ ফেনেল তখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্যাপ্টেন জেমস স্টুয়ার্ট৷ এই জেমস প্রেমে পড়ে মারাঠা রাজকুমারী ও যোদ্ধা তুলাজা নায়েকের৷ রাজকুমারীর অনুপ্রেরণায় জেমস বিদ্রোহ ঘোষণা করেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে৷ তারপর কী হলো, তাই নিয়ে রোলান্ড জফের হলিউড ছবি ‘দ্য লাভার্স’৷ আর এই ছবির নায়ক জে ফেনেল ও জেমস স্টুয়ার্টের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জশ হারনেট৷ আর তার বিপরীতে আছেন বলিউড অভিনেত্রী বিপাশা বসু৷
দীর্ঘদিন ধরেই এই ছবি তৈরির কথা ভাবছিলেন প্রযোজক পল ব্রুয়েলস৷ ঠিক ছিল নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করবেন ব্রেন্ডন ফ্রেজার এবং তার বিপরীতে থাকবেন ঐশ্বরিয়া রাই৷ কারণ ছবির বেশিরভাগ গল্পই ছড়িয়ে আছে ভারতবর্ষে৷ ঠিক ছিল ছবিতে অভিনয় করবেন বিবেক ওবেরয়ও৷ তখন ছবির নাম ছিল ‘দি ইনভেডার’৷ পরে জশ হারনেট, বিপাশা বসু ও অভয় দেওলকে নিয়ে ছবির শুটিং শুরু হয় ‘সিঙ্গুলারিটি’ নামে৷ শুটিং শেষে আবার ছবির নাম পাল্টে হলো ‘দ্য লাভার্স’৷
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এই প্রেমের ছবিই হলিউডে বিপাশার প্রথম ছবি৷ ২০১০ সালে শুরু হয়েছিল ছবির শুটিং৷ হলিউডের পর শুটিং হয় অস্ট্রেলিয়া, চম্বল, ওরচা ও গোয়ালিয়রে৷ শুটিং শেষ হয় ২০১১-র ২৩ এপ্রিল৷ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ছবির ট্রেলার৷ এই দেশেও এখন মুক্তি প্রতীক্ষায় এই ছবি৷ ছবিতে অভয় দেওলের চরিত্রের নাম উদাচী৷ এছাড়াও ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অতুল কুলকার্নি, নিশা শর্মা, মিলিন্দ গুনাজি ও তেহেমিনা সানি৷
ছবিতে থাকছে এই ভারতের নানা ঐতিহাসিক স্হাপত্যও৷ এই ছবির মুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদগ্রীব ছিলেন বিপাশা৷ সম্প্রতি ট্রেলার মুক্তি এবং ভারতে এই ছবির বাণিজ্যিক মুক্তি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বিপাশা৷ বললেন, ‘চরিত্রটা আমার ভালো লেগেছে৷ গোটা শুটিং পর্বে চুটিয়ে অভিনয় করেছি৷ ছবিটা করতে গিয়ে সেই সময়কার ভারতবর্ষের ইতিহাস নিয়েও পড়াশোনা করতে হয়েছে৷ এখন দেখার দর্শকরা আমার অভিনয় কীভাবে নেন৷’- ওয়েবসাইট।