ইউক্রেনে পাঁচ মাস ধরে চলা সংঘর্ষের অবসানের জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যেকার আলোচনার একদিন পরেই আবারো নতুন করে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেন অভিযোগ করছে দেশটির পূর্বের সীমান্তে রুশপন্থী সৈন্যরা আবারো হামলা চালিয়েছে।
এদিকে এই নতুন করে হামলার ব্যাপারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
ইউক্রেনের পূর্বের সীমান্তে আবারো নতুন করে সেনাবাহিনীর হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে দেশটি। দেশটির দক্ষিণ পূর্বের সীমান্তে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রুশপন্থী বিদ্রোহীরা উপকূলবর্তী শহর একটি শহর দখল করে নিয়েছে যদিও ইউক্রেন বলছে শহরটি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এদিকে দোনেস্ক এবং লোহানস্ক সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
এর ফলে পাঁচ মাসব্যাপী সংঘর্ষের অবসানের জন্য মঙ্গলবার দেশ দুটির মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল সেটাও ব্যর্থ হতে যাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনের সীমার মধ্যেই অভিযান চালাচ্ছে।
লন্ডনে ইউক্রেন দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলছেন এই দাবির পক্ষে অসংখ্য যুক্তি রয়েছে। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত রাশিয়া যে তাদের সৈন্য দিয়ে ইউক্রেনে বন্যা বয়ে দিচ্ছে সেটার প্রত্যক্ষদর্শী হতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে এই নতুন করে হামলার ব্যাপারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল।
দেশটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, মিজ মেরকেল টেলিফোনে পুতিনকে বলেছেন এই অবস্থাকে শান্ত করার জন্য রাশিয়ার একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, পূর্ব ইউরোপের যেসব এলাকা শান্ত হয়ে এসেছিল সেখানে ট্যাংক, রকেট লঞ্চার এসব যাওয়ার অর্থ দাঁড়ায় রাশিয়া আবারো পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। অবশ্য রাশিয়া সবসময় বিদ্রোহীদের সাহায্য করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরারাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র জেন পাসকি বলেন, রাশিয়া যে সত্যটা প্রকাশ করতে অনীহা দেখাচ্ছে সে ব্যাপারে ওয়াশিংটন সবসময় উদ্বিগ্ন।