হস্তক্ষেপ ঠেকাতেই সমপ্রচার আইন: তথ্যমন্ত্রী

হস্তক্ষেপ ঠেকাতেই সমপ্রচার আইন: তথ্যমন্ত্রী

inu.27তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কখনোই গণমাধ্যমের ওপর অদৃশ্য হস্তক্ষেপ করেনি, কখনো কোন গণমাধ্যমে রাতের বেলায় টেলিফোন যায়নি। কিন্তু অতীতে সেটি হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন কেউ সেটি করতে না পারে,  সে কারণেই সমপ্রচার আইন ও কমিশন হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বেটার বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সমপ্রচার নীতিমালা কেবল একটি নির্দেশনা। এর ভিত্তিতে হবে সমপ্রচার আইন ও কমিশন। তাই গণমাধ্যমের মালিক, সম্পাদক, বিজ্ঞাপনদাতা সবার কাছে আহ্বান জানাই, আপনারা আসুন। আপনাদের মতামত দিন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই গণমাধ্যমের অংশীজনদের নিয়ে একটি কমিটি করে দেয়া হবে। এ কমিটি বৈঠকের মাধ্যমে সমপ্রচার আইন ও কমিশন করবে। ভবিষ্যতে কেউ যেন কোন টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দিতে না পারে, সে কারণেই এগুলো করা হচ্ছে। হাসানুল হক ইনু বলেন, যে সমপ্রচার নীতিমালা হয়েছে, সেটির খসড়া এক বছর ধরে ওয়েবসাইটে ছিল। কিন্তু কোন সম্পাদক বা কেউ সেটা নিয়ে মন্তব্য করেনি। এখন অনেকেই অনেক কথা বলছেন। বাংলাদেশ এখন একটি ‘বাঁকে’ অবস্থান করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অতীতের স্বৈরতন্ত্র, সামপ্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ এসব ক্ষত বাংলাদেশের বুকে। অতীতের এসবের জঞ্জাল নিয়ে সামনে এগোনো যাবে না। গণমাধ্যমকে এসব বিষয়ে একমত হতে হবে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী, পঁচাত্তরের খুনি, একুশে আগস্টের হামলাকারী তাদের বিষয়ে গণমাধ্যমকে একমত হতে হবে। হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি যখন দেখি গুটিকয়েক গণমাধ্যম জঙ্গিবাদীদের পক্ষে মিথ্যাচার করে, তখন গণমাধ্যমের পবিত্রতা নষ্ট হয়। গণমাধ্যম গণতন্ত্রের পরিপূরক। বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, সংসদ কেউই জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নয়।

অন্যান্য বাংলাদেশ রাজনীতি শীর্ষ খবর