আরো অনেক এলাকা প্লাবিত, দুর্ভোগ চরমে

আরো অনেক এলাকা প্লাবিত, দুর্ভোগ চরমে

অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। দেশের বড় নদীগুলোতে বেড়ে চলেছে পানি।

কোনো কোনো এলাকায় পানি  চলে এসেছে বসত বাড়িতে। বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে কারো বাড়ি। সরিয়ে নেয়া হয়েছে ঘরের মূল্যবান জিনিস-পত্র।image_95230_0

বন্যাকবলিত মানুষ অভিযোগ করেছেন, সরকারি ত্রাণ খুবই অপ্রতুল। অনেক এলাকার নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। ডুবে গেছে এসব অঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তাঘাট।
অনেক এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে গেছে। কোনো কোনো স্থানে তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে শিক্ষার্থীদেরও দুর্ভোগ বেড়েছে। সিলেট, শেরপুর ও ভোলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এসব এলাকায় রোগবালাই দেখা দিয়েছে।

গবাদি পশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার পানির উৎস দূষিত পানির সঙ্গে মিশে যাওয়ার ফলে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, আমাশয়ের মতো রোগ-ব্যাধি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গাইবান্ধায় ঘাগট নদী ২৬ সেন্টিমিটার, চিলমারিতে ব্রহ্মপুত্র নদী ১৩ সেন্টিমিটার, যমুনা নদী বাহাদুরাবাদে ৩৪ সেন্টিমিটার, সারিয়াকান্দিতে ৬৭ সেন্টিমিটার ও সিরাজগঞ্জে ১০ সেন্টিমিটার, আত্রাই নদী বাঘাবাড়িতে ৫৭ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদী এলাশীনে ১১ সেন্টিমিটার, লই্যা নদী লাখপুরে ১৩ সেন্টিমিটার, সুরমা নদী কানাইঘাটে ৪৫ সেন্টিমিটার ও সুনামগঞ্জে ৩৬ সেন্টিমিটার, এবং কংস নদী জারিয়াজাঞ্জাইলে ৪৩ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদী তীরবর্তি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়াগায় এবং খুলনা, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বাংলাদেশ