ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আবারও নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও বহুবার এমন ঘটনা ঘটেছে। গাইনি ওয়ার্ডে রোগির সেবা-যত্নে চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন, এমন নারীদের সঙ্গে চোর চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে ২১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছয় নম্বর বেডের রোগী রুনা আক্তার (২২) ঘুম থেকে উঠে দেখেন- তার দুইটি নবজাতক ছেলে সন্তানের মধ্যে একটি নেই। পরে তার চিৎকার চেচাঁমেচিতে হাসপাতালের কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা দৌড়ে আসে।
আনসার কমান্ডার আব্দুল খালেক জানান, গত ১৯ আগস্ট ভোরে দুটি জমজ ছেলে সন্তান জন্ম দেন রুনা আক্তার। এর পর থেকে ওই ওয়ার্ডে তার বিছানার পাশে এক মহিলা তার সেবা-যত্ন করছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অন্য রোগী ও দর্শনাথীদের ধারনা ছিল ওই মহিলা ছিল রুনা আক্তারের আত্মীয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে সন্তান চুরির পর থেকে ওই মহিলার খোঁজ নেই।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রুনা আক্তারের হারানো সন্তানের কোন সন্ধান দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে বলেও জানান আনসার কমান্ডার।
সরজমিনে দেখা গেছে, গাইনি ওয়ার্ডে এক ঝাঁক নারী রোগির স্বজনদের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে রোগীর দেখভাল করে। ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের একাধিক অভিভাবক এই প্রতিবেদককে বলেন, আগেও ঢাকা মেডিকেলে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই সব মহিলাদের কেউ এই চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
সব গাইনি ওয়ার্ডের গেইটে গেইটে আনসার সদস্য এবং সব গলিতে সিসি ক্যামেরা থাকারও পরও কীভাবে চুরির ঘটনা ঘটে- এই প্রশ্ন রোগির স্বজনদের।