ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসামের প্রধান কমান্ডার মুহাম্মাদ দেইফ বেঁচে আছেন। হামাসের পক্ষ থেকে আজ (বুধবার) এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিমান হামলায় দেইফের ২৭ বছর বয়সী স্ত্রী উইদা ও সাত মাসের শিশু ছেলে আলী দেইফ শহীদ হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে কমান্ডার দেইফের বেঁচে থাকা নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল।
এ সম্পর্কে হামাসের কাসসাম ব্রিগেড বুধবার স্পষ্ট করে বলেছে, আমাদের কমান্ডার দেইফ বেঁচে আছেন এবং তিনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মুহাম্মাদ দেইফের পরিবার যে ভবনে বাস করত সে ভবন ইসরাইলের বিমান হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
এর আগে, ইসরাইলের পাঁচ দফা হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন মুহাম্মাদ দেইফ। বার বার হামলা থেকে বেঁচে গিয়েও তিনি শক্ত হাতে হামাসের সামরিক শাখার নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন এবং তিনি ইসরাইল সরকার ও সেনাবাহিনীর কাছে এক আতঙ্কে পরিণত হয়েছেন।
এবারের গাজা যুদ্ধের সময় প্রথমবারের মতো দেইফের জীবনী অনেকটা বিস্তারিতভাবে প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে এবং তাতে বিশ্বব্যাপী সাড়া পড়ে যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও ঝড় ওঠে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হামাস সমর্থকরা রীতিমতো মুহাম্মাদ দেইফের ভক্তে পরিণত হয়। অনেকের কাছে সাড়া জাগানো গোয়েন্দা সিরিজের ‘জীবন্ত নায়ক’ বলে চিহ্নিত হন কমান্ডার মুহাম্মাদ দেইফ।