গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের নিহত সদস্যদের স্মরণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানের পাশাপাশি শহীদদের পরিবারের সদস্যরাও এ সময় অংশ নেন।
সকাল দশটায় বনানী সেনানিবাস কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কাজী ফখরুদ্দিন আহমেদ শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সহকারী সামরিক সচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনির শ্রদ্ধা জানান। সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাইনুদ্দিন খন্দকার শ্রদ্ধা জানান।
এরপর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মুবীন, নৌ বাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল জহির উদ্দিন আহমেদ এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল শাহ মো. জিয়াউর রহমান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে শহীদ সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবিএম তাজুল ইসলামসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শহীদদের উদ্দেশ্যে স্যালুট প্রদান করেন। এরপর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
দুপুর সাড়ে বারোটায় পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তর জামে মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। বাদ আছর ঢাকাসহ সারাদেশে একযোগে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, তাদের পরিবারের দুই জন, একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও একজন সৈনিকসহ মোট ৭৫ জন নিহত হন।