সিরিয়ার চলমান রাজনৈতিক সংঘাত ও সঙ্কটের সমাধান খুজেঁ বের করতে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে শুক্রবার ‘ফ্রেন্ডস অব সিরিয়া’ শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনে পশ্চিমা ও আরব রাষ্ট্রগুলোসহ বিশ্বের প্রায় ৭০টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সম্মেলনের সমাপনী ঘোষণায় সিরিয়ায় সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ ও দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর অবরোধ আরোপের আহ্বান জানানো হয়। সিরিয়ার অভ্যন্তরে মানবিক ত্রাণ প্রবেশ করতে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে ও ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর সুযোগ দিতেও সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আহ্বান জানানো হয়।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা বাশার আল আসাদবিরোধী সিরিয়ার প্রধান বিরোধী সংগঠন গুলোর জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল বা এসএনসিকে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবর্তনকামী সিরীয়দের বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এদিকে তিউনিস সম্মেলনের ফলাফল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সম্মেলনে উপস্থিত এসএনসির নেতারা। এসএনসি নেতা বুরহান ঘালাউন বলেন, এই সম্মেলনে সিরিয়ান জনগণের আকাঙ্খা পূরণ হয়নি।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া কয়েকটি আরব রাষ্ট্র সিরিয়ায় একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব করলেও চূড়ান্ত ঘোষণায় এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোন ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
সৌদি আরব এবং কাতারের নেতৃত্বে কয়েকটি আরব রাষ্ট্র সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থাসহ আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব করে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদ আল ফয়সাল সিরিয়ার সরকার বিরোধী যোদ্ধাদের সামরিক সহায়তা দেওয়ারও প্রস্তাব করেন।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামাদ বিন জসিম আল থানি বলেন, সিরিয়ায় শান্তি ও মানবিক কার্যক্রম চালানোর পথ সুগম করতে দেশটিতে একটি আরব শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা উচিৎ।
সম্মেলনে উপস্থিত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন সিরিয়ার জনগণকে দমনপীড়নের হাত থেকে রক্ষার জন্য চীন ও রাশিয়াকে বাশার আল আসাদকে সমর্থন করা থেকে বিরত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাজ করতে হবে।
এর আগে জাতিসংঘ এবং আরবলিগ যৌথভাবে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানকে সিরিয়ায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করে।