হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনেলির পদত্যাগ

হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনেলির পদত্যাগ

ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনেলি শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন। ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে সরকারের অভ্যন্তরে চলমান দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে তার এই পদত্যাগ বলে জানায় সংবাদমাধ্যম।

গ্যারি কনেলি হাইতির প্রেসিডেন্ট মাইকেল মারটেলি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী । ২০১১ সালের অক্টোবরে তার নিয়োগের মাধ্যমে দেশটির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা শেষ হয়।

গ্যারি কনেলির পদত্যাগ রাজনৈতিক অস্থিতিশীল ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিধ্বস্ত এই দেশটির পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে আবারও বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে এক মারাত্মক ভ‍ূমিকম্পে দেশটির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্স ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। এছাড়া গত দুই দশক ধরে দেশটি রাজনৈতিকভাবেও অস্থিতিশীলতার শিকার।

হাইতির রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে রশি টানাটানির পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট অচলাবস্থার প্রেক্ষিতে দেশটিতে জাতিসংঘ হস্তক্ষেপ করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার হাইতিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি মারিয়ানো ফার্নান্দেজ বলেন, ‘দেশটির পার্লামেন্ট, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই বিরতিহীন চলছে।’

এই রশি টানাটানি দেশটির বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে হুমকির সম্মুখীন করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

হাইতির একটি সংসদীয় কমিশন দেশটির মন্ত্রীসভার সদস্যদের দ্বৈতনাগরিকত্বের ব্যাপারে তদন্তের উদ্যোগ নিলে সাম্প্রতিক অচলাবস্থা শুরু হয়।

হাইতি ও প্রতিবেশী অন্যান্য ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর মন্ত্রীসভার অধিকাংশ সদস্যই জীবনের অধিকাংশ সময় দেশের বাইরে অবস্থান করেন।

হাইতির সংবিধান অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকরা হাইতির শাসনতন্ত্রে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। এর প্রেক্ষিতে সংসদীয় কমিশন  মন্ত্রীসভার সদস্যদের দ্বৈত নাগরিকত্বর ব্যাপারে অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়।

পদত্যাগ করা প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনেলি পেশায় মূলত একজন চিকিৎসক। এর আগে তিনি জাতিসংঘে কাজ করতেন।

আন্তর্জাতিক