পুঁজিবাজার সম্পর্কে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সঙ্গে আলোচনা, পরামর্শ ও সমন্বয় করতে হবে বলে মন্ত্রণালয়ের এমন ঘোষণা পরিষ্কার হওয়া উচিত বলে মনে করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসইসি’র সাবেক চেয়ারম্যান বলেন সরকারের বিষয়টি পরিষ্কার করা উচিত। কারা বাজার নিয়ে কথা বলতে পারবে কি পারবে না বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেছে।
সরকারের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দূর করতে যদি এটা করা হয়ে থাকে তা হলে সার্কুলারের প্রয়োজন ছিল না বলে তিনি মনে করেন।
তবে বাজারের স্বার্থে যে কেউ বিশেষ করে সংশ্লিষ্টরা কথা বলতে পারে। এক্ষেত্রে বিষয়টি স্পষ্ট করা একান্ত প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অর্থনীতিবিদ বাংলানিউজের কাছে বলেন, সরকার যে সার্কুলার দিয়েছে সেটি আরো স্পষ্ট হওয়া উচিত। তাদের মতে বাজারের স্বার্থে বিষয়টি জরুরি।
অন্যদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)। এই ব্যাপারে ডিএসই’র প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী ও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। এটি বাজারের জন্য প্রয়োজন ছিল। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।
এর মাধ্যমে কেউ অরাজকতা করার সুযোগ পাবে না বলে তিনি মনে করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপ-সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এসইসি-কে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়। পত্রে পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করতে পারে এমন আটটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত বা বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে এসইসি’র সঙ্গে আলোচনা, সমন্বয় ও পরামর্শ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ আটটি বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- সরকারি কোম্পানির বা কোনো কোম্পানির সরকারি শেয়ার পুঁজিবাজারে আসা বা না আসা সংক্রান্ত, জাতীয় বাজেটে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত যেকোনো কর প্রস্তাব, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক পুঁজিবাজার সংক্রান্ত যেকোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি, পুঁজিবাজারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার যেমন- স্টক এক্সচেঞ্জ, সিডিবিএল, ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারী, ব্রোকার, ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংক ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো সংস্থা, কর্তৃপক্ষ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের যেকোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি এবং সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা বা না করা সংক্রান্ত যেকোনো প্রজ্ঞাপন বা নীতি, শুধু অনুমানের ভিত্তিতে সংবাদ মাধ্যমে সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের মন্তব্য করা যাবে না, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া সম্পর্কিত তথ্য, যাতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।