শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার

শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার

চা উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে চট্টগ্রাম চা নিলাম কেন্দ্র এবং শ্রীমঙ্গলের সম্ভাব্য নিলাম কেন্দ্র সরেজমিন পরিদর্শন করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহম্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় বাণিজ্য সচিব মো. গোলাম হোসেন এ কথা জানান বলে বৈঠক সূত্র জানায়।
বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় চা উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, ‘শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপিত হলে উৎপাদন খরচ কমবে ও মান ঠিক থাকবে’ উল্লেখ করে বৈঠকে বলা হয়, এর ফলে চট্রগ্রামের ব্যবসায়ীদের কোনো ধরনের ব্যবসায়ীক ক্ষতি হবে না। বর্তমানে চট্টগ্রামে যারা নিলামকার্য সম্পাদন করছেন, তারাই সেখানে নিলামকার্য সম্পাদন করবেন এবং বর্তমান জনবলই সেখানে কাজ করবে।

মতবিনিময় সভায় চা উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীরা শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপিত হলে সেটা পরিচালনার জন্য বন্ডেড ওয়্যার হাউজ নির্মাণসহ অন্য স্থাপনা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন বলে সূত্র জানায়।

একই সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকার কারণে শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপন করা হলে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না বলেও তারা মত ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, মতবিনিময় সভায় চা উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়,  দেশের ১৬৬টি চা বাগানের মধ্যে ৯৩টি শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত। চা নিলামের জন্য বিপুল চা শ্রীমঙ্গল হতে চট্টগ্রামে নিয়ে আসতে হয়। সেখান থেকে দেশে-বিদেশে চা পাঠানো হয়। এর ফলে একদিকে চায়ের দাম বেড়ে যাচ্ছে ও অন্যদিকে গুণগত মান হ্রাস পাচ্ছে। চা নিলাম কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলে স্থাপিত হলে এর উৎপাদন ব্যয় কমে আসবে।

এদিকে, দেশে উৎপাদিত চায়ের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে বিপুল চা বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে। ফলে দেশের চাশিল্প কর্তমানে হুমকির সম্মুখীন বলেও তারা উল্লেখ করেন। এসব কারণে শ্রীমঙ্গলের চা উৎপাদনকারীরা দীর্ঘদিন ধরে চা নিলাম কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিল বলে বৈঠক সূত্র জানায়।

অর্থ বাণিজ্য