বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হূদয় থেকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার জন্য বীরোচিত ভূমিকা রেখেছিলেন। ৫ জেলায় ৫ দিনের সফরের প্রথম দিনে গতকাল রবিবার বিকাল ৫টায় গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় সার্বজনীন কালীবাড়ি মন্দির পরিদর্শন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় সার্বজনীন কালীবাড়ি মন্দির কমিটির সভাপতি এ্যাড. জগদীশ চন্দ্র বৈদ্য অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশে যে কয়টি ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে তার মধ্যে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কারণ এটি বঙ্গবন্ধুর জম্মস্থান। আমি ঢাকা মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর, মুজিব নগর ও টুঙ্গিপাড়া ঘুরে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জেনেছি। মাত্র ১৮ বছর বয়সে শেখ মুজিবুর রহমান জেলে গিয়েছিলেন।
এর আগে দুপুরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সস্ত্রীক গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকার পর মজীনা বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে প্রার্থনা করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী মিসেস গ্রেস মজীনা, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজা মিয়া বাটু, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমদাদুল হক, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব আলী খান, মার্কিন দূতাবাসের পদস্থ কর্মকর্তাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর রাষ্ট্রদূত টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে প্রবেশ করে পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। পরে তিনি সমাধি সৌধে ও তার বাবা-মায়ের কবরের পাশে কিছু সময় কাটান। তিনি বঙ্গবন্ধুর বাসভবন, বঙ্গবন্ধু মোরোরিয়াল মিউজিয়াম, লাইব্রেরি, বঙ্গবন্ধুর পূর্ব পুরুষের পুরাতন বসতবাড়ি পরিদর্শন করেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন।