অবশেষে ৪ বছর পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল-গম রফতানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আবারও অনুমতি দিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফরেন ট্রেড, চাল-গম রফতানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে মর্মে এক পত্র ভারত অংশের হিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েসনকে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ভারত অংশের হিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েসন প্রতিনিধি দিবাকর এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাল-গম রফতানি নিষেধাজ্ঞার পত্র হাতে পেয়েছেন বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শনিবার দুপুর ১টায় বাংলাদেশ অংশের হিলি সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েসনের সচিব শাহিন বাংলানিউজকে জানান, রফতানি নিষেধাজ্ঞার কোনো পত্র ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফরেন ট্রেড থেকে আমরা এখনো হাতে পায়নি।
ভারত ও বাংলাদেশ সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েসন সূত্রে জানাযায়, ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল-গম রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত সরকার।
অ্যাসোসিয়েসন সূত্রে আরও জানাযায়, ২০০৭ সালের ১০ অক্টোবর ভারত সরকার প্রতি মে:টন চাল বাংলাদেশে রফতানির মূল্য নির্ধারণ করে ৪শ ২৫ মার্কিন ডলার।
একই সালের ২৭ ডিসেম্বর আবার মূল্য বাড়িয়ে তা প্রতি মে:টন চাল ৫শ মার্কিন ডলারের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
পরে ২০০৮ সালের ৫ মার্চ ৬শ ৫০ মার্কিন ডলারের নিচে কোনো চাল রফতানি না করতে নির্দেশ দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফরেন ট্রেড।
আবার একই সালের ২৭ মার্চ ভারত সরকার প্রতি মে:টন চাল ৬শ ৫০ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার মার্কিন ডলার নির্ধারণ করলেও ৩১ মার্চ থেকে চাল রফতানি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করে দেয় ভারত।
সেই থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় চাল ও গম আমদানি।